তাঁর হাত ধরেই এসেছে যাবতীয় সাফল্য। ছোটোখাটো অনলাইন বুক বিক্রেতা থেকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সংস্থায় পরিণত হয়েছে অ্যামাজন। এক কামরার অফিস থেকে ১৬৭ বিলিয়ন ডলারের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। আগামিকাল (সোমবার) সেই অ্যামাজনের সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন জেফ বেজোস।
সেদিনই অ্যান্ডি জেসির হাতে সংস্থার সমস্ত দায়িত্ব তুলে দেবেন ৫৭ বছরের ধনকুব। যিনি আগে অ্যামাজনের ক্লাউড কম্পিউটিং প্রধান ছিলেন। তবে ই-কমার্স সংস্থার এগজিকিউটিভ চেয়ার থাকছে তাঁর হাতেই। সঙ্গে প্রযুক্তি ও ই-কমার্স সংস্থার সবথেকে বড় শেয়ারের মালিকানাও থাকছে বেজোসের কাছে। কিন্তু সিইও পদ ছাড়ার পর অ্যামাজনের নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর ভূমিকা কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বেজোস নিজেও সে বিষয়ে খোলসা করেননি।
তবে সিইও পদ ছাড়ার তিনি কী করবেন, তা নিয়ে অসীম কৌতুহল আছে। আগেভাগে বেজোসই সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন। বরাবরই ‘সায়েন্স ফিকশন’-এর ভক্ত বেজোস ইতিমধ্যে মহাকাশে যাওয়ার পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন। নিজের বন্ধু এবং ভাই মার্কের সঙ্গে মহাকাশে ‘জয় রাইড’ করতে যাবেন। দীর্ঘদিন ধরেই সেই স্বপ্নে বুঁদ হয়ে আছেন বেজোস। মহাকাশে পর্যটন এবং পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য নিজের সংস্থা ‘ব্লু অরিজিনে’ শয়ে শয়ে কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছেন। সেই সংস্থার প্রথম মানুষ থাকা মহাকাশযান রওনা দেবে আগামী ২০ জুলাই। শুধু মহাকাশযাত্রা নয়, বিভিন্ন প্রযুক্তিমূলক, সামাজিক কাজেও যুক্ত থাকবেন বেজোস। সাম্প্রতিক একটি পোস্টে তাঁকে একটি ইলেকট্রিক পিকআপ ট্রাকের চালকের জায়গায় দেখা গিয়েছে। একটি রকেট ক্যাপসুল ল্যান্ড দেখার জন্য মরুভূমির বুক চিড়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। যে ট্রাক তৈরি করেছে অ্যামাজনের তরফে আর্থিক সাহায্য পাওয়া স্টার্ট-আপ রিভিয়ান।