পৃথিবী থেকে প্রায় ৭০ লক্ষ মাইল দূরের একটি ছোট্ট গ্রহাণু 'ডিমরফস'। তার থেকে পৃথিবীর ক্ষতির কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু তাতেই বোম মারতে চলেছে নাসা। প্রায় ২,৬৩৭ কোটি টাকা খরচ করে পাঠানো হয়েছে ডার্ট(DART) মহাকাশযান। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরেই আঘাত হানার কথা। কিন্তু NASA হঠাত্ এমন কেন করতে গেল? আরও পড়ুন : চাঁদে অভিযানের একটি ছবি তো সবাই দেখেছেন, অভিযানের বিরল ২৫টি ছবি দেখুন এখানে
DART
প্রায় ৫৭০ কিলোগ্রামের মহাকাশযানটি আকারে খুব একটা বড় নয়। অনেকটা বাড়ির বড় আলমারির মতোই বলা যেতে পারে। তাই দিয়ে আঘাত হানা হবে গ্রহাণুতে। নাসার গবেষকরা এটি বিশাল পিরামিডে ছোট্ট গল্ফ কার্ট দিয়ে ধাক্কা মারার সঙ্গে তুলনা করছেন।
এটিকে 'গ্রহ প্রতিরক্ষা অভিযান' বলছে নাসা। ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট বা সংক্ষেপে ডার্ট। DART মহাকাশযানটি গত বছর নভেম্বর মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ এয়ার ফোর্স বেস থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হয়। মিশনটির উদ্দেশ্য হল, পৃথিবীর দিকে যদি কোনওদিন কোনও গ্রহাণু ধেয়ে আসে, তবে তার গতিপথ বদলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকা। ঠিক যেন কল্পবিজ্ঞানের মতো।
DART মহাকাশযানটি মেরিল্যান্ডের জনস হপকিন্স অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স ল্যাবরেটরি দ্বারা নির্মিত এবং নিয়ন্ত্রিত। প্রকল্পটি নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কোঅর্ডিনেশন অফিস দ্বারা পরিচালিত।
মিশনে দেখা হচ্ছে, ধাক্কা মেরে কীভাবে কোনও গ্রহাণুর গতিপথ বদলে দেওয়া সম্ভব কিনা। ভবিষ্যতে কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এলে কাজে লাগানো যাবে। তখন আর হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হবে না। একটি প্রতিরক্ষামূলক পদ্ধতি প্রদর্শন করাই এই মিশনের উদ্দেশ্য। আরও পড়ুন : আঁধার চিরে ধরা দিল দূরতম ছায়াপথ, চোখ মেলেই চমকে দিল জেমস টেলিস্কোপ
ডিমরফস
Dimorphos দুই অংশ-যুক্ত একটি গ্রহাণুর অংশ। প্রায় ১৬০ মিটার লম্বা। এটি আসলে একটি ছোট 'মুনলেট'। Didymos নামে একটি বড় গ্রহাণুকে এটি প্রদক্ষিণ করে। Didymos প্রায় ৭৮০ মিটার জুড়ে রয়েছে। অন্যদিকে Dimorphos ১৬০ মিটার। মহাকাশযানের মাধ্যমে ডিমরফসে আঘাত করে তার গতিপথ বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। গ্রহাণুটি ধ্বংস করার মতো কোনও উদ্দেশ্য নেই নাসার।