Arijit Singh: অরিজিৎ স্টেজে গান গাওয়ার মাঝে হঠাৎই গেলেন থেমে, সামনে কে এসে দাঁড়াল!

অরিজিৎকে ভালোবাসার মানুষের সংখ্যা তো অসংখ্য। তবে গায়ক যখন কাউকে দেখে কথা বলতে এগিয়ে আসেন নিজের থেকে, সেই মানুষটাকেও তো বিশেষ হতে হবে। ভরা কনসার্টে কাকে দেখে গান থামালেন অরিজিৎ সিং?

কাকে দেখে গান থামালেন অরিজিৎ?

অরিজিতের গান শুধু কানকে আরাম দেয় না, মনকেও দেয় শান্তি। এমনকী, চাইলে বাংলার এই ছেলে আপনাকে নাচিয়ে ছাড়বে। ভালোবাসার হোক বা দুঃখের গান, কিংবা ডান্স সং, অরিজিতের গলায় সবটাই যেন দুর্দান্ত।

অরিজিতের স্টেজ পারফরমেন্সের ভিডিয়ো প্রায়ই সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে থাকেন তাঁর অনুরাগীরা। তেমনই একটা ভিডিয়ো বিশেষ করে নজর কেড়েছে তাঁর অনুরাগীদের। দেখা যাচ্ছে, গিটার বাজিয়ে নিজস্ব ভঙ্গিতে গান গাইছেন। তবে গান থামিয়ে দেন হঠাৎ করেই। মঞ্চের সামনে থাকা কাউকে দেখে আনন্দ ফুটে ওঠে চোখেমুখে, দেহভঙ্গিমায়।

বলে ওঠেন, ‘ওহ মাই গড! আমি তোমাকে চিনতে পেরেছি। কেমন আছো তুমি? তোমার সঙ্গে আবার দেখা হয়ে খুব ভালো লাগল।’ আসলে এক ভক্তকে দেখেই এভাবে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। সামনে থাকা মানুষটার সঙ্গে হাতও মেলান।

এরপর অরিজিৎ যা করলেন, তা যে কোনও মানুষকেই হতবাক করে দেবে। নিজের হাতে থাকা মাইকটি ধরিয়ে দেন সামনে থাকা অনুরাগীটির হাতে। তিনি গান গাইতে থাকেন আর গিটার বাজাচ্ছিলেন অরিজিৎ। গায়কের এই মিষ্টি স্বভাব বুঝিয়ে দেয়, কতটা মাটির মানুষ তিনি।

শাহরুখ খানের ডাঙ্কি ছবির জন্য গান গেয়েছেন অরিজিৎ। যা মুক্তির কয়েকঘণ্টার মধ্যেই হিট করে যায়। তাঁর গলায় ‘লুট পুট গায়া’ শুনে মন ভরে গিয়েছে সকলের। ফের একবার শাহরুখ খানকে নাচিয়ে ছেড়েছেন। 

তবে অরিজিতের জন্য ২০২৩ সালটা আরও বিশেষ হয়ে থাকবে কারণ মিটিয়ে নিতে পেরেছেন সলমন খানের সঙ্গে ঝামেলা। এক অ্যাওয়ার্ড শো-তে ঘটা ছোট্ট মতভেদ এনে দিয়েছিল দূরত্ব দুজনের মধ্যে। সেই সময় রাতারাতি সলমনের সিনেমা থেকে বাদও পড়ে গিয়েছিল অরিজিতের গাওয়া গান। প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন গায়ক। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। 

তবে ২০২৩ সাল মিটিয়ে দিল সব ভুল বোঝাবুঝি। টাইগার ৩-তে থাকা দুটি গানই গেয়েছেন রায়গঞ্জের ছেলেটা। ‘লেকে প্রভু কা নাম’ তো সুপার ডুপার হিট। নিউ ইয়ার আর ক্রিসমাসের পার্টি প্লে লিস্টে থাকবেই। 

দেশের সবচেয়ে সফল আর সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লে-ব্যাক গায়ক অরিজিৎ। কাজের জন্য মুম্বইতে আনাগোনা লেগে থাকলেও, প্রায়ই তাঁকে দেখা যায় জিয়াগঞ্জে। এমনকী, অরিজিতের দুই ছেলেও সেখানের স্কুলেই পড়াশোনা করে। জিয়াগঞ্জের পথেঘাটে ঘুরে বেড়ান তিনি স্কুটার চেপে। এমনকী, দু চাকা থামিয়ে চেনা মানুষদের সঙ্গে গল্পও করে নেন মাঝেমধ্যে।