তথ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে তরজা তুঙ্গে। বলা হচ্ছে অধিকার রক্ষার নাম করে এটি বাস্তবে সাধারণ মানুষের গোপনীয়তাতেও হস্তক্ষেপ করতে পারে। তবে এবার সেই ডেটা প্রটেকশন বিল নিয়ে মতামত দিল যৌথ সংসদীয় কমিটি। কারোর ব্য়ক্তিগত গোপনীয়তা কোনওদিন জাতীয় সুরক্ষার বিকল্প হতে পারে না। যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রধান পিপি চৌধুরী সরাসরি জানিয়েছেন একথা। এদিকে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে এই বিল সরকারকে একছত্র ক্ষমতা দেবে। এদিকে ইতিমধ্যে প্যানেলের পাঁচজন সদস্য প্যানেলের রিপোর্ট নিয়ে তাঁদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন।
যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রধান পিপি চৌধুরী জানিয়েছেন, যথেষ্ট পরিমাণ রক্ষাকবচ রাখা হয়েছে। কোনও তথ্য জানার ক্ষেত্রে যাতে স্বচ্ছতা থাকে সেটাকে নিশ্চিত করার জন্যই এই বিল আনা হচ্ছে। এদিকে কিছু ক্ষেত্রে সংবিধানের নির্দিষ্ট ধারা মেনে ছাড়ের কথাও ঘোষণা করা হচ্ছে। তবে প্যানেলের সুপারিশ, এই অব্যাহতি বা ছাড়ের ক্ষেত্রে যাতে স্বচ্ছতা ও যৌক্তিকতা বজায় রাখা হয় সেটা দেখাটাও জরুরী।
তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কথা উল্লেখ করে কখনই জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে সমঝোতা করা যায় না। যখন কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজন মনে করবে, বিশেষত সেনা ও ইনটেলিজেন্স এজেন্সির ক্ষেত্রে, তখনই কেবলমাত্র শর্ত আরোপ করা যেতে পারে। ১২ নম্বর ধারা অনুসারে কারোর সম্মতি ছাড়াই যে সরকার কোনও তথ্য জানতে পারে সেটাও তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের সম্মতি দেওয়ার সীমাবদ্ধতার বিষয়টিও আমাদের বুঝতে হবে। কেন্দ্রীয় স্তর থেকে কোনও তথ্য় যখন তৈরি হচ্ছে তখন কীভাবে আমরা গরিব মানুষের কাছ থেকে সম্মতি আদায় করব? তাঁর দাবি, যেখানে পরিষেবার প্রসঙ্গ আসে তখন সম্মতির সবসময় প্রয়োজন হয় না। এদিকে আগামী শীতকালীন অধিবেশনেই এই প্যানেলের রিপোর্ট সংসদের পেশ করা হবে।