ঋষি সমুদ্র দ্বারা রচিত সমুদ্র শাস্ত্রে ব্যক্তির শারীরিক আকৃতি, গঠন ও আকার দেখে, ব্যক্তির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানা যায়। মনে করা হয়, এই শাস্ত্র সঠিক বিশ্লেষণ করে থাকে। এই শাস্ত্রে শরীরের বিভিন্ন অংশের পাশাপাশি নাকের গঠন সম্পর্কেও উল্লেখ পাওয়া যায়। নাকের আকার ও গঠন দেখে ব্যক্তি সম্পর্কে কী কী জানা যায়, জেনে নিন—
পাতলা নাক
এমন নাকের জাতকরা অহংকারী হন। আবার খুব তাড়াতাড়ি রেগে যান তাঁরা। জীবনে সাফল্য লাভের পাশাপাশি রাগী হন তাঁরা। সামান্য উন্নতি লাভ করলেই নিজের পুরনো দিন ভুলে যান। নতুন নতুন কাপড় পড়া শৌখিন এই জাতকরা। শিল্পপ্রেমী হন।
লম্বা নাক
দৃঢ় নিশ্চয়ী ব্যক্তি হন। অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হন না। পারিবারিক সম্পর্কে খুব একটা রুচি রাখেন না এই জাতকরা। ধর্মের পথে হাঁটেন। ভালো প্রকৃতির জীবনসঙ্গী লাভ করেন লম্বা নাকের জাতকরা। তবে জীবনসঙ্গীকে কম গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। দামী দামী জিনিস কেনার শখ থাকে তাঁদের। এই শখ পূর্ণ করার জন্য অত্যন্ত পরিশ্রম করে থাকেন।
ছোটো নাক
সামুদ্রিক শাস্ত্রে মতে, এমন নাক থাকলে জাতকরা অত্যন্ত চঞ্চল হন। আবেগপ্রবণ হন এই জাতকরা। সমাজে তাঁদের অত্যন্ত চালাক মনে করা হয়। ছোটো নাকের জাতকরা বেপরোয়া ধরনের হয়ে থাকে। সুস্বাদু খাবার-দাবারের শৌখিন হন। দূরদর্শী হওয়ার পাশাপাশি সমাজে পৃথক পরিচিতি গড়ে তোলেন।
চাপা নাক
অত্যন্ত সংবেদনশীল হন এমন নাকের জাতকরা। সৎ হন তাঁরা। জীবন সম্পর্কে অত্যন্ত খোলামেলা মনোভব রাখেন চাপা নাকের জাতকরা। সীমাবদ্ধতা পছ্ন্দ করেন না। তবে অর্থের কারণে সবসময় চিন্তিত থাকেন। তাঁদের আর্থিক পরিস্থিতি ভালো থাকে না। পূজার্চনা করে থাকেন তাঁরা।
মোটা নাক
খোশমেজাজে থাকেন মোটা নাকের জাতকরা। সমাজে কে কী বলল, তাতে তাঁদের কিছু যায় আসে না। সকলের মুখে হাসি ফোটাতে সচেষ্ট থাকেন এই জাতকরা। প্রচুর অর্থের মালিক হন এঁরা। হাসিঠাট্টা করে সকলকে মাতিয়ে রাখেন মোটা নাকের জাতকরা।
।