এখন আমাদের বাংলায় আশ্বিন মাসেই দুর্গাপুজোর রীতি। যা আসলে রামচন্দ্রের অকালবোধনের ধারাকে অনুসরণ করে এসেছে। তবে প্রাচীন বাংলায় এমন রীতি ছিল না। বরং চৈত্র মাসের বাসন্তী পুজোই ছিল বাঙালির দুর্গাপুজো। কোনও যুদ্ধে যাওয়ার আগে এই দুর্গাপুজো করেই যাওয়ার চল ছিল। তবে বাসন্তী পুজোই কেন দুর্গাপুজো? সেই নিয়ে পুরাণে একটি কাহিনি প্রচলিত রয়েছে। মনে করা হয়, এই কাহিনির সূত্র ধরেই শুরু হয় চৈত্রমাসে দুর্গাপুজো।
পুরাণ মতে, সমাধি নামক এক বৈশ্য ও রাজা সুরথ ঋষি মেধসের আশ্রমে আসেন। সেখানেই প্রথম শুরু হয় দুর্গাপুজো। দেবী চণ্ডীর প্রথম পুজারী হিসেবেও পুরাণে উল্লেখ রয়েছে রাজা সুরথের নাম। তবে এর পিছনে একটি বড় কারণও ছিল।
আরও পড়ুন: নাচের নামেই গ্রামের নামকরণ! ভারতের এই রাজ্যে গ্রামবাসীদের দাবি মেনে নিল সরকার
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্ত নিতে গেলে দোটানায় ভোগেন মাঝে মাঝেই? ৫ কথা মনে রাখলে ঝামেলাই হবে না আর
প্রাচীন বাংলায় সুরথ বেশ দক্ষ সুশাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এমনকী যোদ্ধা হিসেবেও তাঁর খ্যাতি ছিল বিপুল। সেই সুরথই একবার হেরে যান প্রতিবেশী রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধে। হারার পর আরও মর্মান্তিক দৃশ্য দেখতে হয় তাঁকে। চোখের সামনে তাঁর নিজের সভাসদরাই সবকিছু লুটপাট করে নেয়। এমন আচরণে মনে প্রচন্ড ব্যথা পান সুরথ। বনে ঘুরতে ঘুরতে ঋষি মেধসের আশ্রমে এসে পৌঁছান তিনি।
ঋষি তাকে সেই আশ্রমেই থাকতে বলেন। কিন্তু রাজ্য ছেড়ে আসায় মনে কিছুতেই শান্তি পাচ্ছিলেন না সুরথ। ইতিমধ্যেই, একদিন তাঁর দেখা হয় সমাধির সঙ্গে। স্ত্রী ও ছেলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে সমাধিকে। তাই বনে এসে পৌঁছেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাজারটা কাজ করেও ফুরফুরে থাকবেন, ক্লান্ত হবেন না একটুও, মনে রাখুন শুধু ৫টোটকা
আরও পড়ুন: জন্ম আমেরিকায়, আচমকা উচ্চারণ আইরিশ ভাষায়! এইটি কি মারণ রোগের বিরল লক্ষণ?
কিছুদিন যেতে না যেতেই সমাধিও অস্থির হয়ে ওঠেনয বাড়ি থেকে দূরে চলে এলেও স্ত্রী ও ছেলের কথাই ভেবে চলেছিলেন সমাধি। যাদের জন্য দুজনের সবকিছু হারিয়েছে, তাদের কথাই বারবার মনে পড়ছিল সমাধি ও সুরথ। মনের এই অস্থিরতার কথা ঋষি মেধসকে জানাতেই তিনি বলেন, এই সবই দেবী মহামায়ার ইচ্ছা। এরপরেই মহামায়ার কাহিনি বর্ণনা করে বলেন ঋষি মেধস। তারপরেই রাজা উদ্দেশ্যে কঠিন তপস্যা শুরু করেন রাজা সুরথ। মহামায়ার আশীর্বাদ বর্ষিত হয় তার উপর। এরপর থেকেই বসন্ত কালে শুরু হয় বাসন্তী পুজো। তবে এখন খুব কম বাড়িতেই এই পুজো হয়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup