উদয় তিথি অনুযায়ী দেখা হলে, অমাবস্যা তিথি শনিবার। শনিবার হওয়ায় একে বলা হয় শনিশ্চরি অমাবস্যা। জ্যোতিষীদের মতে, এবার অমাবস্যা শুক্র ও শনিবার উভয় দিনেই পালিত হতে পারে। অমাবস্যার দিনে পিতৃপুরুষদের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করা হয়। উদয় তিথি অনুসারে অমাবস্যা পালিত হলে শনিবার হবে, যদি দুদিন ধরা হয় তবে শুক্রবার শ্রাদ্ধ এবং শনিবার স্নান ও দান করার জন্য উপযুক্ত। এবার এই অমাবস্যা শুক্রবার বেলা ১২.২৩ মিনিটে শুরু হবে এবং থাকবে শনিবার দুপুর ১টা ৪৬ পর্যন্ত।
শাস্ত্র অনুসারে, ভাদ্রপদ মাসে পড়া অমাবস্যা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে উৎসর্গ করা হয়। অমাবস্যার পূজায় কুশা (এক ধরনের সবুজ ঘাস) ব্যবহার করা হয়। জ্যোতিষীদের মতে, ভাদ্রপদ অমাবস্যা সোমবারে পড়লে, একই কুশ ১২ বছর ব্যবহার করা যেতে পারে।
কথিত আছে, এই দিনে পিতৃপুরুষদের নামে অন্নদান ও বস্ত্র দান করে পিতৃপুরুষদের খুশি করা হয়। সম্ভব হলে প্রতি অমাবস্যায় কোনো গরীব বা অভাবী ব্যক্তিকে খাবার দেওয়া উচিত।এই দিনে যেখানে একদিকে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা হয়, অন্যদিকে শিবের পূজা করারও বিধান রয়েছে। তাই ভোলে শঙ্করের পূজা করলে কার্লসর্পের প্রতিকারও ফলদায়ক হয়। ভগবান শিবের রুদ্রাভিষেক করলে ভগবান শিবের বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
প্রতি অমাবস্যায় বা প্রতি ১৫ দিন অন্তর জলে খাড়া লবণ অর্থাৎ প্রায় এক লিটার জলে ৫০ গ্রাম খাড়া লবণ মিশিয়ে মেঝে মুছে দিন। এটি নেতিবাচক শক্তি দূর করবে। কথিত আছে যে অমাবস্যার দিনে যে ব্যক্তি একটি গাছ, লতা ইত্যাদি কাটে বা একটি পাতাও ছিঁড়ে ফেলে, সে ব্রহ্মা হত্যার পাপ ভোগ করে।