ছোট-বড় কাটাছেঁড়া কার না হয়। সমসেয়র সঙ্গে সঙ্গে সেই ক্ষত শুকিয়ে যায়। কিন্তু সমস্যা হয় ডাবাটিসি রোগীদের ক্ষেত্রে। তাঁদের কাটাছেঁড়া সহজে শুকাতে চায় না। তা নিয়ে তাঁরা পড়েন নানা সমস্যায়। এমনকী এই সমস্যা কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এই সমস্যা ঠেকানোর মতো একটি রাস্তার সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। কী জানতে পেরেছেন তাঁরা?
হালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের কয়েক জন গবেষক কাজ করছিলেন ক্ষতস্থানে সরাসরি বাইরে থেকে প্রোটিনের প্রয়োগ নিয়ে। এই চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এক অদ্ভুত জিনিস লক্ষ্য করেন। কেসিন (casein) নামের একটি প্রোটিন বাইরে থেকে প্রয়োগ করে ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকিয়ে দেওয়া যায় বলে টের পেয়েছেন তাঁরা। কী এই কেসিন?
(আরও পড়ুন: জয়বাংলা আর এই কনজাংটিভাইটিস কি এক? নামটাই বা এল কোথা থেকে)
যাঁরা নিয়মিত জিমে যান বা শরীরচর্চা করেন, তাঁদের অনেকের কাছেই এই কেসিন পরিচিত নাম। এটি একটি বিশেষ ধরনের প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট। এটি পেশি গঠনের ক্ষেত্রে এবং বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দারুণ ভাবে কাজে লাগে। সাধারণ জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে এই প্রোটিন খাওয়া হয়। কিন্তু কে জানত, এটি অন্য ভাবেও ব্যবহার করা যাবে? আর সেটিই দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কী দেখিয়েছেন তাঁরা?
দেখা গিয়েছে, সাধারণ ব্যান্ডেজ কোনও ক্ষত স্থানে বাঁধলে, সেই ক্ষত যত তাড়াতাড়ি শুকায়, তার থেকে অনেক বেশি তাড়াতাড়ি শুকাতে পারে, যদি ব্যান্ডেজে এই কেসিন নামের প্রোটিন পাউডার ব্যবহার করা হয়। আর এটি দেখেই অবাক হয়ে গিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
(আরও পড়ুন: দেদার চুল উঠে টাক পড়ে যাচ্ছে? হেঁশেলের ৪ মশলা খেলেই কেল্লা ফতে)
কোথা থেকে আসে এই কেসিন? এটি আসে মূলত গরুর দুধ থেকে। এটি অত্যন্ত উন্নত মানের প্রোটিন। আর সেই কারণেই এটি বাইরে থেকে ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করলে লাভ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু যে কেউ কি ব্যান্ডেজ করার সময়ে এই পাউডার নিজের ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারবেন? না, সে সম্পর্কে সাবধান করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি নিয়ে আরও গবেষণার পরেই জানা যাবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মতো কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। তবে আগামী দিনে এটি ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই কাজের হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। আর সেই কারণেই এই আবিষ্কারটিকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।