Tulsi Vivah 2023: কার্তিক মাসে তুলসী পুজোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই মাসে তুলসী বিবাহ হয়। দেবোত্থানী বা প্রবোধিনী একাদশীর পরের দিন ভগবান বিষ্ণুর শালিগ্রাম রূপের সঙ্গে তুলসীর বিয়ে হয়। আসুন জেনে নিই কীভাবে আয়োজন করবেন তুলসী বিবাহর।
1/5 কার্তিক মাসে শুক্লপক্ষের একাদশীকে দেবোত্থানী বা প্রবোধিনী একাদশী বলা হয়। দীপাবলির পরে আসে এই একাদশী। বিশ্বাস অনুসারে, দেবোত্থানী একাদশীর দিন ক্ষীরসাগরে ৪ মাস ঘুমানোর পর ভগবান বিষ্ণু জেগে ওঠেন। এই একাদশীতে ভগবান হরি জাগ্রত হওয়ার পর শুভ কাজ শুরু হয়। এর পরের দিন তুলসী বিবাহের আয়োজন করা হয়। এবার তুলসী বিবাহ হবে ২৪ নভেম্বর।
2/5 তুলসী বিবাহ অনুষ্ঠান: শাস্ত্রে তুলসী বিবাহের আয়োজন অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়েছে। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর শালিগ্রাম রূপের সঙ্গে তুলসীর বিয়ে দেওয়ার প্রথা রয়েছে। এই দিনে তুলসী বিবাহের অনুষ্ঠান করলে জীবন থেকে সমস্ত ঝামেলা দূর হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে যে ব্যক্তি তুলসী বিবাহের আয়োজন করে সে অত্যন্ত শুভ ফল লাভ করে। তুলসী বিবাহ সম্পূর্ণ আচারের সঙ্গে সম্পন্ন হয়। ভগবান শালিগ্রামকে ভগবান বিষ্ণুর মূর্ত রূপ বলে মনে করা হয়। মনে করা হয়, দেবোত্থানী একাদশীর দিন মা তুলসীর সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুর শালিগ্রাম অবতারের বিয়ে হয়েছিল। তাই এই দিনে তুলসী বিবাহের আয়োজন করা উচিত।
3/5 এই পদ্ধতিতে তুলসী বিবাহ করুন: তুলসীবিবাহে, তুলসীগাছ ও শালিগ্রামের এই বিয়েটি সাধারণ বিয়ের মতোই পূর্ণ আড়ম্বরে সম্পন্ন হয়। এই দিনে তুলসীর মাধ্যমে ভগবানকে ডাকা হয়। শাস্ত্রে বলা আছে যে দম্পতিদের কন্যা নেই তাদের জীবনে একবার হলেও তুলসী বিবাহ করা উচিত। এর দ্বারা কন্যাদানের সমান পুণ্য লাভ হয়, দাম্পত্য জীবন সুখে ভরে ওঠে।
4/5 তুলসী বিবাহের জন্য প্রথমে উঠান, বারান্দা বা পুজো ঘরের মাঝখানে একটি তক্তায় তুলসী গাছটি রাখুন। মণ্ডপ সাজান। তুলসী দেবীকে সমস্ত শৃঙ্গার সামগ্রী সহ লাল ওড়না নিবেদন করুন। এবার শালিগ্রামকে একটি পাত্রে রাখুন। তিল নিবেদন করুন। তুলসী ও শালিগ্রামকে হলুদ নিবেদন করে দুধ দিয়ে স্নান করান।