মাঝে মাত্র একটি দিন, তার পরই বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠবেন সকলে। চলতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পালিত হবে সরস্বতী পুজো।স্কুল, কলেজ, কোচিং-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে সানন্দে পুজোর প্রস্তুতি অংশগ্রহণ করে ছাত্রছাত্রীরা। তবে করোনা পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে অনেক কিছুই। এখন আর আগের মতো স্কুল-কলেজে সাড়ম্বরে বিদ্যা দেবীর আরাধনা আয়োজিত হয় না। তবে ঘরে ঘরে ছোটো ছেলেমেয়েরা থাকলে এখনও সরস্বতী পুজো করা হয়ে থাকে।
শাস্ত্র মতে, সরস্বতী পুজোর দিন বিদ্যারম্ভের জন্য শ্রেষ্ঠ। বাঙালি সমাজে হাতেখড়ির মাধ্যমে বিদ্যারম্ভের সূচনা করা হয়। এদিন পুজোর পর মা, বাবা অথবা পুরোহিত শিশুর হাত ধরে স্লেটে 'অ, আ, ক, খ' লিখিয়ে অক্ষর পরিচয় করান। এই হাতেখড়ির প্রথার শিক্ষার জগতে প্রবেশ করে সেই শিশু।
সরস্বতী পুজোর দিনে স্নানের পর নতুন পোশাক পরে হাতেখড়ির জন্য প্রস্তুত হয় শিশু। পুরোহিত স্লেট ও খড়িকে পবিত্র করেন। তারপর দেবীর সামনে বসিয়ে শিশুকে প্রথম অক্ষর লেখানো হয়। এই হাতেখড়ির মাধ্যমে বই বা বাদ্যযন্ত্রকে দেবতা বলে গণ্য করতে শিখি আমরা।
তবে হাতিখড়ি দেওয়ার আগে কিছু কিছু বিষয় জেনে রাখা উচিত—
১. যে শিশুর হাতেখড়ি হবে, তার রাশি অনুযায়ী সেই দিনটি তার জন্য শুভ কিনা, তা সবার আগে জেনে নিতে হবে।
২. আবার সেই নির্দিষ্ট দিনে শুভক্ষণেই হাতেখড়ি দিতে পারবেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুজোর পর শিশুর হাতেখড়ি হয়ে থাকে।
৩. প্রত্যেকেরই শ্রেষ্ঠ ও প্রথম গুরু তাঁর মা। তাই মায়ের হাত ধরে হাতেখড়ি নেওয়াই কাম্য। মায়ের অবর্তমানে বাবা এই কাজটি করাতে পারেন। অধিকাংশ সময় পুরোহিত মশাই বাচ্চাকে কোলে বসিয়ে তার হাতেখড়ি করান।