1/7 চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তারিখটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় কারণ এই দিনে শীতলা অষ্টমীর উৎসব পালিত হয়। এই দিনটি মা শীতলাকে উৎসর্গ করা হয়।
2/7 এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে শীতল জিনিস দিয়ে মা শীতলার পুজো করা হলে মা শীতলা ভক্তদের শরীর ও মনকে শীতল করে এবং সব ধরনের তাপ নাশ করে। বিশ্বাস অনুসারে, মানুষ শীতলা অষ্টমীতে দেবীর পুজো করে। আসুন জেনে নেই এই বছরের শীতলা অষ্টমীর তারিখ, পুজোর শুভ সময় এবং তাৎপর্য।
3/7 শীতলা অষ্টমী ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল পালিত হবে। শীতলা অষ্টমীর উপবাসকে বসোদা অষ্টমীও বলা হয়। কারণ এই দিনে মা শীতলাকে বাসি খাবার নিবেদন করা হয়। হোলির ৮ দিন পরে পালিত শীতলা অষ্টমী, উত্তর ভারতীয় রাজ্য রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাটে বিশেষভাবে পালিত হয়।
4/7 পঞ্চাং অনুসারে, চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি ১ এপ্রিল ২০২৪ রাত ০৯ টা ০৯ মিনিটে শুরু হবে এবং ২ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে পরের দিন ০৮ টা ০৮ মিনিটে শেষ হবে।
6/7 শীতলা অষ্টমীর তাৎপর্য: শীতলা অষ্টমীর দিনে নারীরা পরিবারের সুখ ও সমৃদ্ধি এবং তাদের সন্তানদের দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের জন্য উপবাস করে। মা শীতলার পুজো শিশুদের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি দেয়। মনে করা হয়, এই ব্রতর মহিমার কারণে শিশুদের গুটি বসন্ত, হাম ও চোখের রোগের ঝুঁকি থাকে না।
7/7 শীতলা অষ্টমী ব্রতের পদ্ধতি: শীতলা অষ্টমীর দিন টাটকা খাবার রান্না হয় না। উপবাসের একদিন আগে শীতলা অষ্টমীর পুজোর জন্য মহিলারা খাবার তৈরি করেন। ভোগে মিষ্টি ভাত, রাবড়ি, মালপোয়া, হালুয়া ইত্যাদি খাবার তৈরি করা হয়। ভোগও এক দিন আগে থেকেই প্রস্তুত করা হয়। শীতলা অষ্টমী পুজোর দিন ভক্তরা শীতল জলে স্নান করেন। শীতল জিনিস দিয়েই দেবীর পুজো করা হয়। এমনকি পুজোর সময় প্রদীপ ও ধূপ জ্বালানো হয় না। পুজোর পর মানুষ শুধু বাসি খাবার খায়।