আচমকাই বরাহনগরে প্রকাশ্যেই চলল গুলি। স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালালেন স্বামী। প্রতিবেশিরা ছুটে এলে তাঁদের উদ্দেশ্যেও গুলি চালানো হয়। গোটা ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কীভাবে ওই ব্যক্তির হাতে অস্ত্র এসে পৌঁছোল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, পেশায় গাড়িচালক বাপি মিস্ত্রির সঙ্গে ঝগড়া করে বাপের বাড়িতে চলে যান পামেলা। বৃহস্পতিবার রাতে বরাহনগরে এ কে মুখার্জি রোডে পামেলার বাড়িতে চলে আসেন বাপি। পামেলার সঙ্গে সেখানে তাঁর ঝগড়া হয়। ঝগড়াঝাটির পর পামেলার বাড়ির লোকেদের মধ্যস্থতায় বাপি তখনকার মতো চলে যায়। এরপর রাত সাড়ে ১০টার সময়ে বাপি ফের পামেলার বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বাইরে থেকেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। রাগের মাথায় মোবাইল ফোন আছড়ে মাটিতে ফেলে দেন বাপি। মোবাইল পড়ার আওয়াজ পেয়ে পামেলা বাইরে বেরিয়ে আসতেই তাঁর উদ্দেশ্য গুলি চালানো হয়। গুলির আওয়াজ পেয়ে আশেপাশের প্রতিবেশিরা ছুটে আসে। প্রতিবেশিরা বাপিকে ঘিরে ফেলে। তখন বাপি তাঁদের হুমকি দেয়, তাঁকে ধরতে এলেই গুলি করে দেওয়া হবে। বাপি এরপর দুই রাউন্ড গুলি চালায়। প্রথমে স্ত্রীকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি চালায়। এরপর প্রতিবেশিদের লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এরপরই বেগতিক দেখে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বাপি। শেষ পর্যন্ত বাপিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ইতিমধ্যে অভিযুক্ত বাপিকে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করে পুলিশ। কীভাবে তাঁর কাছে অস্ত্র এল, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। অভিযোগকারিনী পামেলা মিস্ত্রি জানান, ‘আমার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। ঝগড়া করার পরেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। কেন এই ধরনের কাণ্ড ঘটালো বুঝতে পারছি না।’ পামেলার দিদি কোয়েল সাহা জানান, ‘আমার বোনের সঙ্গে ঝগড়া তো হয়েছিলই। কিন্তু এই ধরনের কাণ্ড যে ঘটাবে বুঝতে পারিনি। খুব ভয়ে ভয়ে আছি। বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তো ভয় লাগবেই। পাড়ার লোকেরাও বলছে।’ এই ঘটনা প্রসঙ্গে বাড়িওয়ালা বাপি রক্ষিত জানান, ‘ও একাই এসেছিল। আমরা যখন ওকে ধরতে যাই, তখন ও পালিয়ে যায়। ওকে যে ছেলেটা ধরতে গিয়েছিল, তাঁকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়েছে।’