৮৮ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিল ভারত সরকার। তাদের ফেরানো হল দেশে। গত সোমবার বিএসএফ এবং হেম্নগর কোস্টাল থানার সহযোগিতায় এই ১৮ জন মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সাত মাস জেলে থাকার পর দেশে ফিরতে পারায় স্বাভাবিকভাবেই আনন্দিত মৎস্যজীবীরা।
মাস সাতেক আগে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছিলেন বাংলাদেশি এই মৎস্যজীবীরা। উল্টে গিয়েছিল বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের তিনটি ট্রলার। এরপরে তারা ভাসতে ভাসতে চলে এসেছিলেন সুন্দরবনের কাছে। ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করার কারণে তখন সুন্দরবনের হেম্নগর কোস্টাল থানা এবং বিএসএফের জওয়ানরা তাদের প্রথমে আটক করে এবং পরে গ্রেফতার করে। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ভারতে পৌঁছে গেলেও তাদের অনুপ্রবেশকারী তকমা দেওয়া হয়। তারপরে তাদের সংশোধনাগারে রাখা হয়। এভাবেই দেখতে দেখতে সাতটি মাস কেটে যায়। অবশেষে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
এদিন মৎস্যজীবীদের বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার আগে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কালিন্দী নদীর মাঝখানে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। এরপরেই নদী পার করে মৎস্যজীবীদের তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে। একইসঙ্গে তাদের তিনটি ট্রলারও ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত। ৭ মাস পর ঘরে ফিরতে পারায় খুবই আনন্দিত মৎসজীবীরা। তারা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেক সময় সমুদ্রের মাঝখানে দিশা নির্দিষ্ট করা যায় না। সেই সময় তারা ভুলবশত ভারতের সীমান্তে ঢুকে পড়েছিলেন। তবে এখন বাড়ি ফিরতে পারায় তারা খুবই আনন্দিত।