দিঘায় গড়ে তোলা হচ্ছে বায়োডাইভার্সিটি পার্ক (জীববৈচিত্র্য)। আর এটি আইওসি’র (ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন) আর্থিক সহযোগিতায় গড়ে তুলছে দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা। এখন পার্কটি গড়ে তুলতে জোরকদমে হাত লাগানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই পার্কের শিলান্যাসও হয়েছে। দিঘায় আরও অনেক উন্নয়নের কাজ চলছে। সেখানে জগন্নাথ মন্দির থেকে শুরু করে মেরিন ড্রাইভ গড়ে তোলা হচ্ছে। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে বায়োডাইভার্সিটি পার্ক।
কোথায় পার্কটি গড়ে তোলা হচ্ছে? নিউ দিঘায় অমরাবতী পার্কের কাছে পদ্মপুকুর সংলগ্ন এলাকায় উন্নয়ন সংস্থার নিজস্ব জায়গার উপর পরিবেশ-বান্ধব এই পার্কটি গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। আইওসি তাদের সিএসআর(কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি) প্রকল্পে এই পার্কটির জন্য ২ কোটি টাকা খরচ করছে। দিঘায় পর্যটকদের বিনোদনের কথা মাথায় রেখে একাধিক পার্ক গড়ে তোলা হলেও জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে এই ধরনের পার্ক প্রথম।
আর কী জানা যাচ্ছে? উন্নয়ন সংস্থা সূত্রে খবর, এই পার্কে জীববৈচিত্র্য তুলে ধরতে নানারকমের গাছগাছালি থাকছে। প্রতিটি গাছগাছালির নাম এবং গুণাগুণ উল্লেখ করা থাকছে। এই গাছগাছালিতে যাতে বিভিন্ন ধরনের পাখি আসতে পারে, সেই বিষয়টিও ভাবা হয়েছে। বেড়াতে আসা স্কুল–কলেজের বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা পার্কে এসে জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে নিজেদের অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারবেন। এককথায় পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই এই পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে পর্যটকদের বসার আসন থাকছে। উন্নতমানের রেস্টুরেন্ট–সহ বোটিংয়ের ব্যবস্থাও থাকছে।
ঠিক কী বলছে দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা? বায়ওডাইভার্সিটি পার্ক নিয়ে এখানের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘পদ্মপুকুর এবং তার চারপাশ মিলিয়ে সাড়ে তিন একর জায়গা রয়েছে। সেখানেই পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে জীববৈচিত্র্যকে বাঁচিয়ে রাখা একান্তই জরুরি। ছাত্রছাত্রীদের কাছে প্রাণী ও উদ্ভিদ সম্পর্কে তাঁদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে এই ধরনের বায়োডাইভারসিটি পার্ক খুবই কার্যকরী হবে।’