ভয়াবহ কাণ্ড উত্তরদিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। মাত্র ৬০ টাকা নিয়ে বচসা বেঁধেছিল দুই বন্ধুর মধ্যে। আর তার পরিণতিতে এক বন্ধু অপর বন্ধুর পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।পেটের বাঁদিকটা মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত যুবকের নাম সঞ্জয় রায়। বয়স ৩২ বছর।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর মঙ্গলবার রাতে কালিয়াগঞ্জের ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের কেউতান গ্রামে কার্তিক সরকারের সঙ্গে সঞ্জয়ের ঝামেলা বেঁধেছিল। কার্তিকের কাছে সঞ্জয় ৬০ টাকা পেতেন। সেটাই চাইতে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেটা নিয়েই বচসা। কার্তিক পাওনা টাকা দিতে চাননি বলে অভিযোগ। এরপরই ঝগড়ার মাঝে সঞ্জয়ের উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় কার্তিক। অভিযোগ এমনটাই। তাঁর পেটের মধ্যে ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। অভিযুক্ত যুবক পেশায় ট্রাকচালক। তাকে আটক করা হয়েছে। রক্তমাখা ছুরিটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে শুধু ৬০টাকা নিয়ে বচসা নাকি এর পেছনে পুরানো কোনও শত্রুতা আছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে মাত্র ৬০ টাকা নিয়ে বচসার জেরে এভাবে হামলার ঘটনার কথা শুনে হতবাক অনেকেই।
তবে কি বন্ধুকে খুন করার জন্যই ছুরি মারা হয়েছিল? এই হামলা কি পূর্ব পরিকল্পিত নাকি আচমকাই রেগে গিয়ে তিনি ছুরি ঢুকিয়ে দেন? সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে পুজোর মুখে এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে উত্তরবঙ্গের এই প্রান্তিক গ্রামকে।