আগামী লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ সালে। হিসেব মতো এখনও প্রায় দু’বছর বাকি। সেখানে এতদিন আগেই এবার বিজেপি সাংসদের ভবিষ্যদ্বানী করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শনিবার রানাঘাটে সভা করতে এসে এমনই দাবি করেছেন তিনি। আর তা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এখানের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? আজ, শনিবার রানাঘাটে জনসভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘এখানকার সাংসদ অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করছেন। বলছেন, বিজেপি এত ভোটে জিতবে, অত ভোটে জিতবে। আজকে আমি একটা ভবিষ্যদ্বাণী করছি। মিলিয়ে নেবেন, এই জগন্নাথ সরকারকে আর টিকিট দেবে না বিজেপি। কারণ তাঁকে দেখা যায়নি। এরপর নতুন একটা মুরগি ধরে আনবে। তারপর আপনাদের বলবে, একে ভোট দিন। সেই ব্যক্তিকে ভোট দেওয়া মানে নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দেওয়া। নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দেওয়ার অর্থ সিএএ হওয়া।’
ঠিক কী বার্তা দিলেন অভিষেক? ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট আসন প্রায় দু’লক্ষ ভোটে হেরেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন অভিষেক সভার শুরুতেই বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস হেরেছিল দলেরই কয়েকজন লোকের জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর অভিমান করে নয়। মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়েছিল স্থানীয় স্তরে দলের কিছু নেতার কাজকর্মের জন্য। কোনও ভুল–ত্রুটি থাকলে আমাকে ক্ষমা করুন। ঘরের ছেলেকে শাসন করুন। কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেবেন না। পরিযায়ী পাখিদের ভোটের পর দেখতে পাবেন না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাবেন। ভয় পাবেন না নজরদারির দায়িত্বে আমি আছি।’
বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে কী বললেন অভিষেক? এদিন রানাঘাটের সভা থেকে বিজেপিকে ধুয়ে দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘ইডি-সিবিআই লাগিয়ে মোদী–শাহ ভয় দেখাবার চেষ্টা করেছে। অতীতেও মাথা উঁচু করে গিয়েছি। ভবিষ্যতেও যাব। আপনার–আমার মধ্যেকার কোনও দেওয়াল থাকবে না। সরাসরি আমার সঙ্গে কথা বলবেন। কোনও নেতাদের প্রয়োজন নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে। গা–জোয়ারি করলে একঘণ্টায় দল থেকে বের করে দেব। দু’ঘণ্টার মধ্যে দলের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে দিয়ে ব্যবস্থা নেব। যারা একুশে বেইমানি করেছেন আমার কাছে তাঁদের তালিকা আছে। ঠিকাদারি করলে পঞ্চায়েতের টিকিট নয়। আপনারা যাকে পঞ্চায়েতে দাঁড় করাতে চান তাঁরাই দাঁড়াবে।’