বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Abhishek Vs Shantanu : লড়াই শেষে চওড়া হাসি শান্তনুর, গলায় গামছা দিয়ে ছোট মন্দির থেকে ফিরলেন অভিষেক

Abhishek Vs Shantanu : লড়াই শেষে চওড়া হাসি শান্তনুর, গলায় গামছা দিয়ে ছোট মন্দির থেকে ফিরলেন অভিষেক

শান্তনু ঠাকুর। ফাইল ছবি

ভোট এলেই মতুয়াদের জন্য মন কাঁদে রাজনৈতিক দলগুলির। আসলে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ককে নিজেদের দিকে রাখতে চেষ্টার কোনও কসুর করে না রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু এদিনের লড়াইটা ছিল অন্যরকম।

সকাল থেকেই ঘটনাবহুল ঠাকুরনগর। একদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অপর দিকে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। একেবারে সম্মুখ সমর। সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের চারপাশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আর অভিষেককে ঘিরে পুলিশ বাহিনী। পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ গোটা এলাকা। কিন্তু প্রশ্ন তো একটাই, শেষ হাসি কে হাসলেন? মতুয়া গড়ে কার কতটা প্রভাব? মোটের উপর জিতলেন কে? অভিষেক নাকি শান্তনু?

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোট এলেই মতুয়াদের জন্য মন কাঁদে রাজনৈতিক দলগুলির। আসলে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ককে নিজেদের দিকে রাখতে চেষ্টার কোনও কসুর করে না রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু এদিনের লড়াইটা ছিল অন্যরকম। ঠাকুরবাড়িতে আসছিলেন অভিষেক। আর যেন তেনভাবে তাকে আটকাতে চেয়েছিল বিজেপি। অঘোষিত কর্মসূচি। আসলে মতুয়াদের মধ্যে কে বেশি জনপ্রিয় তারও যেন পরীক্ষা হল এদিন।

অভিষেক আসার আগে চারদিকে নানা তির্যক মন্তব্য। দুর্নীতি নিয়ে পোস্টার। এরপর এলেন অভিষেক। গলায় গামছা। কিন্তু নেতা অভিষেককে নিয়ে মূল মন্দিরে প্রবেশ করতে পারলেন না তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। আর এরপরই কার্যত ছোট মন্দিরে পুজো দিলেন তিনি।

পুলিশ ব্যারিকেড করে অভিষেককে ছোট মন্দিরে ঢোকার ব্যবস্থা করে দেয়। সেখানে পুজো দিয়ে তিনি যান বড় মা বীনাপাণি দেবীর ঘরে। সেখানে তিনি খানিক ক্ষণ থাকেন। মতুয়া ভক্তদের সঙ্গে কিছু কথাবার্তা বলেন। এরপর বাইরে এসে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কথা বলেন।

তবে এদিন চেষ্টার কোনও কসুর করেনি তৃণমূল। সাজিয়ে তোলা হয়েছিল ঠাকুরবাড়ি। নেতামন্ত্রীরাও ছিলেন পুরোদমে। পুলিশে ছয়লাপ গোটা এলাকা। কিন্তু কোথাও যেন ছন্দ কাটল বার বার। অভিষেক বেরিয়ে যাওয়ার পরে উঠল চোর চোর স্লোগান।

ঠাকুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, ‘শান্তনু ঠাকুর কখনও মানুষের দাবি নিয়ে সরব হয়েছেন? ধর্ম ছেড়ে মানুষের স্বার্থে লড়াই করুন।’

প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন এসেছিলেন আমরা তাঁকে সম্মান জানিয়েছিলাম। অভিষেকের বেলায় এমন করা হল কেন?’

আসলে অনেকের মতে এদিন যেন এই ব্যর্থতার দায় গিয়ে পড়ল মমতাবালা ঠাকুরের উপরই। আর ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিন শেষ হাসি হাসলেন শান্তনুই। দেখিয়ে দিলেন ঠাকুরনগরের রাশ কার হাতে। বললেন, অভিষেকের পতনের শুরু হয়ে গেল। আর অভিষেক বললেন, ৩ মাস অন্তর ঠাকুরবাড়ি আসব। দম থাকলে আটকাও।

 

 

বন্ধ করুন