গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের অন্য়তম মুখ বিমল গুরুং ভিড়ে গিয়েছেন তৃণমূলে। মোর্চাও নানাভাবে বিভক্ত। পাহাড়ে ক্রমেই স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল গোর্খাল্যান্ডের দাবি। তবে এবার অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে পাহাড়ে উঠছে গোর্খাল্যান্ডের দাবি। এবার গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে রাজধানী দিল্লিতে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নিলেন পাহাড়বাসীর একাংশ। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তৈরি হওয়া মঞ্চের তরফে নতুন করে এই আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ ও ৭ই ডিসেম্বর দিল্লির যন্তরমন্তরে তারা ধর্নায় বসবেন। বৃহস্পতিবার তাঁরা দিল্লির উদ্দ্যেশে রওনা হয়ে যান।
রওনা হওয়ার আগে শিলিগুড়িতে তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের দাবি গোর্খাল্যান্ড ঘোষণা করতে হবে। সরকার কী বলবে তা নিয়ে আমরা কিছু বলছি না। আমরা গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করব। বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা আমাদের মঞ্চে থাকতে পারেন। কিন্তু সেই দলের কোনও সিদ্ধান্তে আমরা চলছি না। গোর্খাল্যান্ডের দাবি তো কেন্দ্র মেটাবে। রাজ্য তো মেটাতে পারবে না। সেকারণেই দিল্লি যাচ্ছি।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এর আগেও তো পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন হয়েছে। সেক্ষেত্রে সেইসব মঞ্চ থেকে আন্দোলন নয় কেন? আন্দোলনকারীদের দাবি, আগে যে দাবি মেটানো হয়নি, এটা অন্যায়। গোর্খাল্যান্ডের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েই প্রতিবার রাজনৈতিক দল দার্জিলিং আসন জিতে নেয়। কিন্তু দাবি পূরণ হয় না।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ১৫ সদস্যের দল দিল্লিতে ধর্নায় বসবেন। এদিকে এর আগেও গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দিল্লিতে ধর্নায় বসেছেন অনেকেই। কিন্তু দাবি পূরণ হয়নি। সেক্ষেত্রে সামনে লোকসভা নির্বাচন। কেন্দ্রীয় সরকার গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে কোন বার্তা দেয় সেদিকেই নজর বিভিন্ন মহলের। তবে অতীতে বিমল গুরুংয়ের আন্দোলনের জেরে পাহাড় যেভাবে অশান্ত হয়েছিল, সেই লাগাতার বনধ. স্তব্ধ পাহাড়, আর চাইছেন না পাহাড়বাসী অনেকেই।