পানিহাটির তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল খড়দহ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে বারুইপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। ধৃতদের নাম সুজিত পণ্ডিত ও প্রসেনজিৎ পণ্ডিত। মূল অভিযুক্ত অমিত পণ্ডিতকে জেরা করেই এদের নাম পাওয়া গিয়েছে। এদের থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র কেনে অমিত পণ্ডিত। তাকে জেরা করেই এই তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য–রাজনীতি। আততায়ী অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে কাউন্সিলরের মাথার পিছনে গুলি করেছিল। খুনের গোটা দৃশ্য ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেখান থেকেই প্রথম ধরা পড়ে শার্প শুটার অমিত পণ্ডিত। আর তাকে জেরা করেই বাকিদের ধরে ফেলে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট। ধৃত অমিত পণ্ডিতকে জেরা করে জানা গিয়েছে, খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটি সে বারুইপুরের তিনজন দুষ্কৃতীর কাছ থেকে কিনেছিল। যারা ধরা পড়েছে। খুনের ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে ছিল চারজন। কাউন্সিলর যাঁর মোটরবাইকে বসেছিলেন, তার উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিল এক ব্যক্তি। আর স্থানীয় দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিল এক ব্যক্তি। সিসিটিভিতে অত্যন্ত তেমনটাই ধরা পড়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই খুনের পিছনে মূল কারণ প্রতিহিংসা। এমনকী তদন্তের অনেক মোড় থাকায় খুনের মূল কারণ এখনই প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না পুলিশ। ঠিক কী কারণে খুন? তা খতিয়ে দেখছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট। এই খুনের মাথা কে? কার নির্দেশে সুপারি কিলার অমিত পণ্ডিত গুলি চালিয়েছিল? খতিয়ে দেখা হচ্ছে।