অপারেশনের সময়ে সদ্যোজাতের মাথা কাটা গিয়েছে বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। তবে এই প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবশ্য মতে, শিশুটির জন্মগত সমস্যা থাকায় তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
শিশুটির পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, গত সোমবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হন লালখানদিয়ার বাসিন্দা রিঙ্কি খাতুন। এরপর হাসপাতালের তরফে রিঙ্কিকে অপারেশনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা জানান, কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে জানানো হয় যে শিশুটি মারা গিয়েছে। শিশুটির মাথা কাটা ছিল বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। এই একই ধরনের বয়ান পাওয়া গিয়েছে শিশুটির মায়ের কাছ থেকেও। তিনি অভিযোগ করেন, সদ্যোজাতের মাথা কাটা ছিল। তিনি সেটা স্পষ্ট দেখেছেন। পাশাপাশি তাঁর সেলাইও ঠিকভাবে করা হয়নি। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই কাজের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে ঘটনাস্থলে চলে আসে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শিশুটির একাধিক অঙ্গ তৈরি হয়নি। নানা ধরনের জন্মগত সমস্যা রয়েছে। সাধারণ মানুষ যদি এই কথা বুঝতে পারতেন তাহলে এত সমস্যা হত না। কিন্তু জন্মগত সমস্যার কথা মানতে চাইছেন না রোগীর পরিবারের আত্মীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, ‘হাসপাতাল থেকে প্রথমে বলল সিজার হবে। সাড়ে ১১টার সময় বলল, বাচ্চা আর এক থেকে দেড় ঘণ্টা বাঁচবে। তারপর বলল বাচ্চার মাথা হয়নি। এক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু সংবাদ আসে। গিয়ে দেখি, শিশুটির মাথা কাটা আছে। আমরা এর সুবিচার চাই।’