করোনার জেরে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছিল মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিষেবা। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণের হার কিছুটা কমতেই ফের সব মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন টালু করার নির্দেশ দেওয়া হল রেলের তরফে। বুধবার রেলকর্তাদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসেন পূর্ব রেলের জিএম মনোজ যোশী। এরপরই রেলের তরফে জানানো হয়, হাওড়া থেকে মুম্বই, মালদহ থেকে দিল্লি-সহ একাধিক জায়গা থেকে ট্রেনের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই সব মেল-এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হচ্ছে।
এদিকে দেশের অভ্যন্তরে সব দূরপাল্লার ট্রেন চালু হলেও বাংলাদেশের মৈত্রী, বন্ধন এক্সপ্রেস চালু করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব কেন্দ্র সরকার। তবে রাজ্যে লোকাল ট্রেন কবে থেকে চালু করা হবে, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট জবাব নেই রেল কর্তৃপক্ষের তরফে। জানা গিয়েছে, লোকাল ট্রেন চালাতে চেয়ে রাজ্যের কাছে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে রেলের তরফে। তবে যাত্রী বিক্ষোভ বাড়তে থাকলেও লোকাল চালানোর অনুমোদন মেলেনি।
উল্লেখ্য, গত বেশ কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন রুটে বাড়ানো হচ্ছিল বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা। এদিকে বাড়ানো হয় স্টাফ ট্রেনের সংখ্যাও। তবে ক্রমশ বেড়েই চলেছে ভিড়। তাই লোকাল ট্রেন চালু করার আবেদন জানিয়ে রাজ্যকে চিঠি দেয় রেল। তবে অনুমোদন মেলেনি। এদিকে এই বিষয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন লোকাল ট্রেন অন্তত ১৫ জুনের আগে চালু হচ্ছে না।
মমতা নবান্নে এই বিষয়ে বলেছিলেন, 'যে বিধিনিষেধ আছে, তা কোভিডকে ঠেকাবার জন্য। আগে কোভিডটা কমাতে দিন। কারও কোনও কিছুতে কষ্ট হবে, এটা জানা কথাই। এখন রেল চালালে দুনিয়ার লোকের কোভিড হবে। তখন কে দেখবে ? দোকানপাট সবই তো চালু রয়েছে। অন্য জায়গায় যে লকডাউন হয়েছে, কার্ফু হয়েছে, আমাদের তো সে রকম কিছুই হয়নি। এখানে তো সবই চলছে। তাই চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। এখন তো অনেক জায়গায় ওয়ার্ক ফ্রম হোমও চলছে। সবজি বিক্রেতারাও গাড়িতে যাচ্ছেন। সবজি মান্ডি চলছে। কাজেই সে রকম অসুবিধে নেই।'