এবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রোগীভর্তির নামে প্রতারণার অভিযোগ বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে বাঁকুড়া জেলায়। অভিযোগ, সুস্থ মানুষকে অসুস্থ দেখিয়ে দিনের পর দিন স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় ভর্তি করে রাখা হচ্ছে হাসপাতালে। এই অভিযোগ উঠেছে বাঁকুড়ার ৩টি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। এমনকী সেজন্য মোটা টাকাও দেওয়া হচ্ছে রোদীকে।
বাঁকুড়ার CMOH জানিয়েছেন, জেলার কয়েকটি নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে দুর্নীতি করছে বলে খবর পাই। এরা পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থেকে সুস্থ মানুষদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি করে রাখত। দিন দশেক ভর্তি থাকার পর ‘রোগী’কে সুস্থ ঘোষণা করে বানানো হতো মোটা বিল। তার পর তা পেশ করা হতো স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। এই সব রোগীদের জোগাড় করার জন্য দালাল নিয়োগ করেছিল নার্সিংহোমগুলি। তারাও মোটা টাকা বখরা পেত। এমনকী রোগীদের ছুটির সময় দেওয়া হতো ৮,০০০ – ১০,০০০ টাকা।
এছাড়া সামান্য উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদেরও বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধের প্রলোভন দেখিয়ে ভর্তি করে নেওয়া হতো নার্সিংহোমে। তার পর চলত ভুয়ো চিকিৎসা। সেই বিল দেখিয়েও আদায় করা হত টাকা।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ৩টি নার্সিংহোমের মধ্যে একটির লাইসেন্সের মেয়াদ ইতিমধ্যে ফুরিয়েছে। তার পরও রোগী ভর্তি করছিল তারা। সেটিকে বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি ২টি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছে।