বেশ কিছুদিন আগে অনুব্রত মণ্ডল সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, ইডি দিল্লি নিয়ে যাবে বললেই নিয়ে যাওয়া যায় নাকি। এবার তাঁর কথাই সত্যি হল। ইডি তাঁকে নিয়ে যেতে পারছে না। শিবঠাকুরের ‘কৃপায়’ আপাতত অনুব্রত মণ্ডলের ঠিকানা দুবরাজপুর থানা। সেখানেই মঙ্গলবার নিশিযাপন করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। সবাইকে গুড নাইট জানিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুম দিয়েছেন তিনি। এটাই যেন তিনি চেয়েছিলেন। চার মাস পর নিজের গড়ে ফিরলেন তিনি।
কী ছিল ডিনারের মেনুতে? দুবরাজপুর থানা সূত্রে খবর, রাতটা সেখানেই কেটেছে তাঁর। তবে রাতে তিনটে রুটি, বেগুন পোড়া এবং ডাল দেওয়া হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রত একটা রুটি খেয়েছেন। তবে বেগুন পোড়া এবং ডাল তৃপ্তি করে খেয়েছেন। এমনকী বেশ কয়েকটা ঢেঁকুরও তুলেছেন। তাতেই তাঁর তৃপ্তি বোঝা গিয়েছে। আর শুতে যাওয়ার আগে সবাইকে গুড নাইট বলেছেন তিনি। রাতে ভাল ঘুম দিয়ে সকালে ফুরফুরে নেজাজে আছেন তিনি।
ঠিক কী করলেন অনুব্রত? বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে চা–পান করেছেন কেষ্ট। আর তারপর নয়াদিল্লি যাওয়া রুখতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিহাড় জেলে যাওয়া আটকাতেই পুরনো মামলাকে ঢাল করছেন অনুব্রত মণ্ডল। শিবঠাকুরের মামলা শাপে বর হয়েছে কেষ্টর কাছে। এদিন থানায় চার দেওয়ালে বন্দি থাকলেও নিজের কাছের লোকেদের চোখের দেখা দেখতে পেয়েছেন তিনি বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, রাউস আদালত যেদিন অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দিল সেদিনই কেষ্টর বিরুদ্ধে শিবঠাকুরের মামলা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে এটাকে মোক্ষম চাল বলেও মনে করছেন। গত ১১ অগস্ট গরুপাচার মামলায় বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর থেকে ১৩১ দিন আসানসোলের জেলে বন্দি। আর অনুব্রতকে জেরার জন্য নয়াদিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পায় ইডি। তারপরই বদলে যায় ছবিটা।