করোনাভাইরাস মোকাবিলা, পরিযায়ী শ্রমিক, রাজনৈতিক হিংসার মতো বিষয়গুলি নিয়ে আক্রমণ আসবে প্রত্যাশিত ছিল। সেই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে পালটা অমিত শাহকে খোঁচা দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টা থেকে তৃতীয় দফায় বঙ্গবাসীর উদ্দেশে দিল্লি থেকে অনলাইনে ভাষণ দেন শাহ। সেই সভা শুরুর ৩০ মিনিট আগে একটি টুইটবার্তায় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মাননীয় অমিত শাহজি, এই সংকটের সময় বাংলা আপনাকে কথা বলতে শোনেনি। তবে আমাদের আশা, আপনি এক মিনিট সময় নিয়ে এটার উত্তর দেবেন : চিন আমাদের ভূ-খণ্ডের এলাকা কি দখল করে নিচ্ছে নাকি করছে না?’
করোনা পরিস্থিতি শুরু থেকে তৃণমূল সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত ক্রমশ বেড়েছে। কখনও তা কেন্দ্রীয় দলকে সাহায্য না করার জন্য, লকডাউনের বিধি শিথিলের জন্য, কখনও করোনার প্রকৃত তথ্য গোপন, আবার কখনও স্থল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পণ্যবাহী ট্রাক যেতে না দেওয়ার জন্য রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্র। তারইমধ্যে কেন্দ্র অভিযোগ করে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য ট্রেন ঢুকতে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। যদিও পালটা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সংঘাত আরও চওড়া হয়।
ইতিমধ্যে সব বিষয়গুলি নিয়েই রাজ্যস্তরে সরব হয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি এবং ত্রাণ বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। সেই আবহের মধ্যে শাহ যে আক্রমণাত্মক কৌশলই নেবে, তা স্পষ্ট ছিল। তাই তৃণমূল জাতীয়তাবাদী ভাবাবেগ নিয়ে খোঁচা দিয়ে শাহকে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলার কৌশল নিয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। বরং স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ২০২১ সালে বাংলায় বিজেপির সরকার গড়ার ডাক দিয়েছেন শাহ।