বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতির পদ যেতেই দিলীপ ঘোষকে নিশানা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি যখন বিজেপিতে ছিলেন তখন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মধুর ছিল না। এবার দিলীপের পদ যেতে তাঁকে পুরনো কথা মনে করিয়ে দিয়ে বাবুল লিখছেন, এত দিন দলের কাজ করে বিজেপি নেতা শেষ পর্যন্ত 'ঝুনঝুনি' পেলেন।
টুইটে বাবুল লিখেছেন,'অবেশেষে বাংলা বিজেপির ঠোঁট সিল করে দেওয়া হল। নিজের ওষুধের স্বাদ নিজেই পেলেন। এত বছর দল করার পর উনি ঝুনঝুনি পেলেন। এখন তিনি বুঝতে পারছেন কেন আমি আমার কষ্টর্জিত এমপি পদ তাদের মুখে ছুড়ে দিয়েছিলাম।'
রাজ ভবনের উপর অতি নির্ভরতা, পঞ্চায়েতে ৬০ শতাংশ বুথে ফল অশান্তি না হওয়া সত্বেও ফল খারাপ হওয়া, বাংলায় ৩৫৫ ধারা লাগু করা, এসব নিয়ে সরব হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। যা কার্যত দলের অন্য দুই শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের মতের বিপক্ষে। তাঁর এই মুখ খোলায় অস্বস্তিতেও পড়তে হয় বিজেপিকে। বাবুল তাঁর টুইটে বোঝাতে চেয়েছেন, এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া মাধ্যমে বিজেপি নেতার মুখ বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হল।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী বিস্ফোরক অভিযোগ, একুশের ভোটে আসানসোলে তাঁকে হারানোর চেষ্টা করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি টুইটে বোঝাতে চেয়েছেন, সেটা ছিল তাঁর মুখ বন্ধ করার প্রক্রিয়ার অঙ্গ। কারণ বাবুল সেই সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন দলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নিয়ে।
(পড়তে পারেন। পদ হারিয়েও টুইট দিলীপ ঘোষের, এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন মেদিনীপুরের সাংসদ)
তাঁর টুইটে আরও অভিযোগ করে লিখেছেন, 'সর্বভারতীয় বিজেপি আসলে বাঙালিদের ঘৃণা করে। বাঙালিরা এই গদ্দার পার্টির কাছে মূল্যহীন। কেবল মাত্র একজন জোকার বাংলার প্রতিনিধিত্ব করবেন। তিনি কে নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন।'
পদ হারিয়ে দিলীপ ঘোষ বোঝাতে চান এসব কোনও ব্যাপার নয়। তিনি লড়াই–আন্দোলনের মধ্যে আছেন। তাই টুইট করে তিনি লেখেন, ‘উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘি ব্লকের বাজারগাও অঞ্চলের খিদিরপুকুর থেকে জেলেদের জালে ব্যালট বাক্স উদ্ধার হল। আপনাদের ভোটের ভবিষ্যৎ জলে! আর তাই পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের ভবিষ্যৎও জলে।’