করোনা সংক্রমণ রুখতে জেলায় কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এবার সেই নির্দেশ মতোই লেকটাউনের কাছে বাঙুরের বি ব্লককে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করল জেলা প্রশাসন। এই ঘোষণার ফলে ওই এলাকায় ঢোকা ও বেরোনোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হল।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বাঙুর বি ব্লক এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরেই সংক্রমণের মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলেও খবর মিলেছে। এই খবর প্রশাসনের কাছে পৌঁছাতেই আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি হলেন না আধিকারিকরা। এদিন প্রশাসনের তরফে ওই এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এলাকায় প্রশাসনের তরফে করোনা পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি করোনা আক্রান্তদের আলাদা করে রাখার জন্য এলাকায় সেফ হোম তৈরিরও চিন্তাভাবনা করছে প্রশাসন। এদিন ওই কনটেনমেন্ট জোন এলাকা পরিদর্শনে যান সুজিত বসু। এলাকায় এসে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। কোন কোন বাড়িতে করোনা হয়েছে, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন। প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেবিষয়েও খোঁজখবর নেন মন্ত্রী।
এদিন সকালে দক্ষিণ দমদম পুরসভার গাড়ি এসে এলাকায় স্যানিটাইজেশনের কাজ করে। এছাড়ার বিভিন্ন অলিগলি স্যানিটাইজেশনের কাজ করা হয়। পাশাপাশি এলাকায় যে অস্থায়ী করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র হয়েছে, সেখানে বেশ কয়েকজনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রশাসনের নির্দেশ মতো পুরো এলাকাটিকে গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে কনটেনমেন্ট জোন করে করোনা মোকাবিলার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, শুধু কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করলেই হবে না, করোনা পরীক্ষা, ট্র্যাকিং ও ট্রেসিংয়ের কথাও বলা হয়। গত বছর করোনা সংক্রমণ ছড়ায় তখন এই রাজ্যেও বিভিন্ন এলাকাকে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোন হিসাবে ভাগ করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হয়। অনেক জায়গাকেই কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই একই মডেল ব্যবহার করল প্রশাসনের কর্তারা।