এবার স্কুলছুট নাবালিকাদের চালু, আলু-সহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আগামী ১৭ অগস্টের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্নের মতে, নয়া সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের প্রায় ২৭,০০০ নাবালিকা উপকৃত হবে।
খাদ্যসামগ্রী বণ্টন নিয়ে নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, স্কুলছুট নাবালিকাদের মাথাপিছু দু'কিলোগ্রাম চাল, ৩০০ গ্রাম মুসুর ডাল এবং এক কিলোগ্রাম ছোলা দেওয়া হচ্ছে। বণ্টনের দায়িত্বে আছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। নাবালিকার পরিবারের লোক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করতে পারবেন। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও উপভোক্তা নাবালিকাদের বাড়ি গিয়েও তা দিয়ে আসতে পারেন। সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসন।
তবে অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পের আওতায় সেই খাদ্যসামগ্রী বণ্টন করা হবে না। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা চাল-ডাল কিনবেন। সেই টাকা বরাদ্দ করবে রাজ্য। সেজন্য দামও নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৭ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে হবে। কেজি প্রতি ৫৫-৬৫ টাকায় ছোলা ও ৯০ টাকায় ডাল কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, স্কুলে পড়ার সময় ওই নাবালিকারা পুষ্টিকর খাবার পেত। কিন্তু স্কুল ছেড়ে দেওয়ার পর অনেকেই পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না। সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মন্ত্রী শশী পাঁজার বক্তব্য, স্কুলপড়ুয়া ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মা-শিশুদের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হত। নাবালিকারা কেন বঞ্চিত হবেন? তাই নাবালিকাদেরও খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।