সিঙ্গুরের ক্ষত মুছিয়ে দিচ্ছে ডানকুনি। ডানকুনির রেল কারখানায় ১ আর্থিক বছরে তৈরি হল ১০০ ইঞ্জিন
1/4 একটি আর্থিক বছরে বিরাট সাফল্যের দোরগোড়ায় চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কাসের ডানকুনির কারখানা। মোটামুটি আট বছর আগে যাত্রা শুরু করেছিল এই শিল্প কারখানা। গত আর্থিক বছরে এই কারখানায় সব মিলিয়ে ৭৫টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল। আর উৎপাদন শুরুর আট বছরের মাথায় এবার একটি আর্থিক বছরে ১০০টা রেল ইঞ্জিন তৈরির করতে চলেছে এই রেল কারখানা। সব মিলিয়ে চলতি আর্থিক বছরে ১০১টি রেল ইঞ্জিন তৈরি করছে এই কারখানা। এককথায় নজিরবিহীন এই উদ্যোগ। শুধু তাই নয়, একাধিক মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে যে গত অর্থবর্ষের মার্চে চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসের কর্মচারীরা একদিনে তো ১২টি লোকোমোটিভ তৈরি করে ফেলেছিলেন। যা অভাবনীয় বলে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য। (ছবি সৌজন্যে Indian Railways)
2/4 নতুন যে ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে সেটাকে পাঠানো হবে দক্ষিণ-মধ্য় রেলের অধীনে হায়দরাবাদ সংলগ্ন মৌলালি লোকো শেডে। এই ওয়াগন কারখানায় নানা প্রতিকূলতা রয়েছে। তবে তার মধ্য়েই এই কারখানায় একের পর এক সাফল্য। এটা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। নতুন উদ্যমে কাজ করছে বাংলার রেল ইঞ্জিন কারখানা। ছবি সৌজন্যে Indian Railways)
3/4 বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন ২০১২ সালের ২৮ মে এই কারখানার শিলান্যাস করেছিলেন। একটি ইলেকট্রিক লোকো কমপোনেন্ট কারখানা ও ডিজেল কম্পোনেন্ট ফ্য়াক্টরির শিলান্যাস করা হয়েছিল। হুগলির ডানকুনির এই কারখানাকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিল বাংলা। ছবি সংগৃহীত
4/4 একটা সময় সিঙ্গুর থেকে চলে গিয়েছিলেন টাটারা। এনিয়ে তৃণমূলকে নানা সময় নানা কথা শুনতে হয়েছে। তবে এই তৃণমূল নেত্রী যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তাঁর হাত দিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছিল ডানকুনির এই কারখানার। আর ডানকুনির সেই কারখানায় এবার বিরাট সাফল্য। একটি আর্থিক বছরে তৈরি হল ১০১ টি রেল ইঞ্জিন। রেল ইঞ্জিন কারখানার ইতিহাসে এটা কার্যত উল্লেখযোগ্য পরিসংখ্যান। সীমিত পরিকাঠামো ও শ্রমিক দিয়েও বিরাট কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ডানকুনির এই কারখানা। (ছবি সৌজন্যে Indian Railways)