অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরের পরেই বীরভূমে ফের কোপ পড়ল অনুব্রত অনুরাগীর ওপর। এবার দুবরাজপুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ভোলা মিত্রকে। নব জোয়ার যাত্রায় বীরভূম সফরে এসে ভোলা মিত্রকে সতর্ক করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁকে ছেঁটে ফেলল দল।
রবিবার বীরভূমে তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন জেলার দায়িত্বে থাকা ফিরহাদ হাকিম। স্থানীয় সাংসদ শতাব্দী রায়। সেই বৈঠকেই দুবরাজপুর ব্লক কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তার জায়গায় তৈরি করা হয়েছে নির্বাচনী কমিটি। কিন্তু সেই কমিটিতে জায়গা হয়নি ব্লক কমিটির সভাপতি ভোলা মিত্রের। এর পর ভোলাবাবু বলেন, ‘দল যা ভালো বুঝেছে করেছে। দল যতদিন রাখবে ততদিন থাকব। না রাখতে চাইলে ছেড়ে দেব।’
এই নিয়ে শতাব্দী রায় বলেন, ‘দুবরাজপুরে ব্লক কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনী কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন স্বপন মণ্ডল ও রফিকুল মণ্ডল। ১৫ সদস্যের নির্বাচনী কমিটিই পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলকে পরিচালনা করবে।’
এই নিয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘আরও কে কে তালিকায় আছে দেখুন। পশম বাছতে গিয়ে কম্বল উজাড় হয়ে যাবে।’
বলে রাখি, অনুব্রত মণ্ডল জেলযাত্রার পর থেকেই বীরভূমে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে তার বিরোধীগোষ্ঠী। জেলায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কোর কমিটি গড়ে দিয়ে এসেছিলেন তাতে স্থান পেয়েছিলেন অনুব্রত বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্য বলে পরিচিত শতাব্দী রায় ও কাজল শেখ। এবার ছেঁটে ফেলা হল এক অনুব্রত অনুরাগীকে। যদিও জেলা সভাপতি পদে বহাল আছেন জেলবন্দি কেষ্ট।