বারবেলার খবরে এবার উঠে এলো বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম। কারণ এই বারবেলাতেই তিনি যুযুধান প্রতিপক্ষের বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। যা অনেকে কল্পনাও করতে পারছেন না। যে সরকারের বিরুদ্ধে তিনি দু’বেলা গালমন্দ করেন, কটাক্ষ করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অভিযোগ পোস্ট করেন—তিনি কিনা খড়্গপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে গেলেন! এটা কী শুধুই সৌজন্য দেখাতে? রাজ্যজুড়ে পুরসভা নির্বাচনের আগে এই প্রশ্নই উঠল।
ঠিক কী করেছেন দিলীপ ঘোষ? বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি মঙ্গলবার দুপুরে খড়গপুরে পুরসভার প্রশাসক তথা প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক প্রদীপ সরকারের বাড়িতে হাজির হন। সদ্য প্রয়াত হয়েছেন প্রদীপবাবুর মা। এদিন ছিল নিয়মভঙ্গের অনুষ্ঠান। তবে এই নিমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন না দিলীপ ঘোষ। তারপরও তিনি সেখানে উপস্থিত হন। প্রদীপবাবুকে সমবেদনা জানান। তারপর তাঁদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথাও হয়। তবে কি কথা হয়েছে তা নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি।
প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে বিজেপি সাংসদদের হঠাৎ উপস্থিতি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। প্রদীপবাবুর মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে দিলীপ ঘোষই যোগাযোগ করেছেন বলে সূত্রের খবর। তারপরই মঙ্গলবার দুপুরে প্রদীপের বাড়িতে আলো করে এলেন দিলীপ। এমনকী একে অপরকে আলিঙ্গন করে মিষ্টিমুখও করতে দেখা যায়।
এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, ‘আমি খড়গপুরে আছি। জানতে পারলাম প্রদীপ সরকারের মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান রয়েছে। তাই সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলাম। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতেই পারে। সৌজন্যটাই আসল।’ আর প্রদীপ সরকার বলেন, ‘খড়গপুর শহর রাজনীতির সৌজন্য দেখে এসেছে বারেবারে। খড়গপুরের বিধায়ক জ্ঞানসিং সোহম পাল যখন মারা গিয়েছিলেন তখনও তাঁকে সম্মান জানানোর ব্যবস্থাও করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এটা খড়গপুরের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে।’