কোচবিহারে ফের শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে বিজেপি কর্মী খুনের অভিযোগ। এবার ঘটনাস্থল অসম সীমানা লাগোয়া তুফানগঞ্জের নাককাটিগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব শিকারপুরের। মৃতের নাম কালাচাঁদ কর্মকার। বিজেপির বুথ স্তরের নেতা ছিলেন তিনি। বুধবার সকালে তাঁকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পিটিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ বিজেপির। তৃণমূলের যদিও দাবি, ঘটনায় কোনও রাজনীতি নেই।
কুচবিহারের এসপি ক কান্নন জানিয়েছেন যে মৃত ব্যক্তির ৫৫ বছর বয়স। দুই ক্লাবের মধ্যে বিবাদ থামাতে গিয়েছিলেন তিনি, তখন কেউ তাঁকে মুখে মারে ও তিনি জ্ঞান হারান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কালীপুজোর ভাসানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে পূর্ব শিকারপুরের ২টি ক্লাবের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। তার জেরেই বুধবার কালাচাঁদবাবুর ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ব্যাপক মারধর করা হয় তাঁকে। আহত কালাচাঁদবাবুকে উদ্ধার করে তুফানগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়।
পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি করায় তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। এই অভিযোগ করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি মালতি রাভা রায়। তিনি জানিয়েছেন, কালাচাঁদবাবুকে বাঁচাতে গিয়ে বিপ্লব কর্মকার ও পরিমল বর্মন নামে ২ জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন। তাদের তুফানগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় লিখেছেন, ‘কোচবিহারে বিজেপির বুথ সম্পাদক কালাচাঁদ কর্মকারকে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী পিটিয়ে হত্যা করেছে, কিন্তু প্রশাসন চোখে কাপড় বেঁধে রেখেছে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে। খুব শীঘ্রই মানুষ এর জবাব দেবে এই 'অহংকারী' সরকারকে।’
ঘটনায় তৃণমূল যুক্ত নয় বলে দলের নেতা আবদুল জলিল বলেন, ২ ক্লাবের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে এই খুন। এর মধ্যে বিন্দুমাত্র রাজনীতি নেই।
তুফানগঞ্জ থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘কালীপুজো নিয়ে ২ ক্লাবের বিবাদের জেরে এই খুন। ১ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।’