কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা। আর সেটা বুঝতে পেরেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির একাধিক ‘সিটিং’ এমপি’র আসন পরিবর্তন করতে পারে গেরুয়া শিবির বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই এই সম্ভাবনার কথা আঁচ করে লোকসভা নির্বাচনের একবছর বাকি থাকতেই নিজেদের জন্য ‘নিরাপদ’ আসনের খোঁজ করতে মরিয়া বঙ্গ–বিজেপির বেশ কয়েকজন সাংসদ। এই তালিকায় মোট ১১ জনের নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? বিজেপি সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার প্রত্যেক ‘সিটিং’ বিজেপি এমপিই যে আবার টিকিট পাবেন সেটাও হবে না। বঙ্গ– বিজেপির অনেক সাংসদকেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে আর প্রার্থী করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সাংসদ হয়ে এলাকায় কাজ না করা, দলের অন্দরে বিদ্রোহ করা এবং বেশিরভাগ কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকার জন্যই টিকিট দেওয়া হবে না। এমন একটি রিপোর্ট সুনীল বনসল জমা দিয়েছেন জেপি নড্ডার কাছে বলে শোনা যাচ্ছে।
অন্দরের খবর ঠিক কী? এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বঙ্গ–বিজেপির শীর্ষ নেতারা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য বিজেপির এক সাংসদ বলেন, ‘টিকিট দেওয়া না হলে সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু দলের যে সাংসদ বিগত পাঁচ বছর ধরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংগঠন তৈরি করেছেন, তিনি কেন অন্য আসন থেকে লড়বেন? এভাবে কিছু হয় না।’ সুতরাং এই দলীয় সাংসদের মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, এবার আসন পরিবর্তনের মতো সম্ভাব্য ইস্যুতেও বঙ্গ–বিজেপিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল তীব্র হবে। যা নিঃসন্দেহে নির্বাচনের মুখে দলের বিড়ম্বনা বৃদ্ধি করবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে মেয়াদ বৃদ্ধির পর জেপি নড্ডা আসেন বাংলায়। কৃষ্ণনগরে প্রকাশ্য সমাবেশের পর তিনি দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে একটি সাংগঠনিক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে আসন পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল। আর তারপরই বঙ্গ–বিজেপির সাংগঠনিক হাল খতিয়ে দেখে লোকসভা নির্বাচনে কিছু ক্ষেত্রে ‘সিটিং’ এমপিদের আসন পরিবর্তনের মতো পদক্ষেপ করা হতে পারে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup