ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ১ ব্লকের পুরন্দা গ্রামের ঘটনা। আচমকাই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ধরে যায় কারখানায়। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। এদিকে অনেকেই আতঙ্কে কাছাকাছি যেতে পারেননি।পরে দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় বাজি কারখানাটি চলছিল। বাবা নারায়ণচন্দ্র জানা ও ছেলে দুর্গাপদ জানা দুজনেই এই কারখানার সঙ্গে যুক্ত। তারাই এদিন কাজ করছিলেন। সেই সময়ই বিস্ফোরণ। এদিকে দুর্গার মা গৌরী জানাও কারখানায় ছিলেন। তার শরীরেও আগুন লেগে যায়। দমকলকর্মীরা তিনজনকে উদ্ধার করেন। কিন্তু দুর্গাপদ জানার মৃত্যু হয় অগ্নিকাণ্ডে।
অন্যান্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গা আগুনে পুড়ে গিয়েছে। তবে বাজি কারখানায় কীভাবে আগুন লাগল তা নিয়েও প্রশ্ন। এই বাজি কারখানা চালানোর জন্য আদৌ ছাড়পত্র ছিল কী না সেটাও প্রশ্ন।
এদিকে আগুনের জেরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। এলাকায় পুলিশ গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বাংলার একাধিক বাজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা হয়েছে।
সম্প্রতি মহেশতলায় বাজি কারখানায় আগুন লেগেছিল। ভয়াবহ বিস্ফোরণও হয়। ঝলসে মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। বাড়ির মালিকের স্ত্রী, পুত্র ও এক প্রতিবেশীর মৃত্য়ু হয়েছিল বলে খবর। ভয়াবহ ঘটনা। বহু দূর থেকে সেদিন আগুন দেখতে পাওয়া যায়। দুমদাম আওয়াজ শোনা যায়।
সূত্রের খবর, মহেশতলার নুঙ্গি মণ্ডলপাড়ার একটি বাড়িতে চলছিল বাজি কারখানা। সেখানেই বিস্ফোরণ। তারপরেই আগুন ধরে যায়। কিন্তু আদৌ কি বাজি কারখানা নাকি এর পেছনে ছিল অন্য কিছ?
দমকলের এক পদস্থ আধিকারিক প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন, ঘটনায় অন্য়রকম ব্যাপার রয়েছে।তিনটে দেহ পাওয়া গিয়েছে। ফরেনসিক হবে। তদন্ত হবে।
সূত্রের খবর, সন্ধ্যায় আচমকাই বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। তারপরেই দাউ দাউ করে আগুন। দমকল বাহিনী রাত পর্যন্ত আগুন নেভানোর কাজ করছে। ইতিমধ্য়েই তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।স্থানীয় পুকুর থেকে জল নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনও অনুমতি ছাড়াই এখানে বাজি কারখানা চালানো হচ্ছিল বলে খবর। সব মিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি।
এবার এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। মৃত্যু হল ১জনের।