স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছিল। কিন্তু নগদ টাকা দিতে পারেনি পরিবার। শুধু এই কারণে বৃদ্ধ রোগীর দেহ আটকে রাখার অভিযোগ উঠল বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে! এমনকী, মৃতের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সোনারপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে মৃতের পরিবারের কাছ থেকে ৪২ হাজার টাকা দাবি করায়, হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে গিয়েছে হাসপাতাল চত্বরে।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে। মৃতের পরিবারের দাবি, এদিন সকালে সোনারপুরের জগদীশপুরের বাসিন্দা জন্মেঞ্জয় মণ্ডল (৭৬) অসুস্থ বোধ করেন। তাঁকে প্রথমে যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে যান বাড়ির লোকেরা। কিন্তু ওই হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের গ্রহণযোগ্যতা না থাকায়, জন্মেঞ্জয়বাবুকে সোনারপুরের কালিকাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান আত্মীয়রা। ওই হাসপাতালে অবশ্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করা হয়। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর সাড়ে সাত হাজার টাকার পরীক্ষা করা হয়। সেই টাকা অবশ্য নগদে মিটিয়ে দেন পরিবারের লোকেরা।
এদিকে রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় জন্মেঞ্জয়বাবুর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে রোগীর মৃত্যুর খবর পরিবারকে জানানো হয়। এদিন সকালে পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে দেহ নিতে যান। অভিযোগ, তখনই তাঁদের কাছ থেকে ৪২ হাজার টাকা দাবি করে হাসপাতাল। শুধু তাই নয়, আরও অভিযোগ উঠেছে, টাকা দিতে না পারায়, মৃতের দেহ আটকে রাখা হয়।