আবারও বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদার বৈষ্ণবনগরের মির্জাচক ঘোষপাড়ায়। সোমবার রাতে স্থানীয় এক মহিলা পাঁচিলের পাশে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ দেখতে পান। খবর যায় থানায়। রাতে পুলিশ এসে দেখে ব্যাগের ভিতরে রয়েছে তাজা বোমা। ঘটনার খবর জানাজানি হওয়ার পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে।
মহিলা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে শৌচাগারে যাচ্ছিলেন তিনি। তখন পাঁচিলের পাশে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। পরিবারের লোকেদের জানান সেই কথা। এর পর পুলিশে খবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পুলিশ পৌঁছে ব্যাগের মুখ খুলে দেখে তার মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা।
স্থানীয়দের দাবি, যে জায়গায় বোমাগুলি রাখা হয়েছে তাতে অনুমান, বাইরে থেকে কেউ এসে বোমা রেখে গিয়েছে। যে পরিবারের বাড়ির বাইরে বোমা রেখে যাওয়া হয়েছে তারা কোনও দুষ্কর্মে যুক্ত থাকতে পারে না। পরিকল্পনামাফিক তাঁদের ফাঁসানোর জন্য এই কাজ করে থাকতে পারে দুষ্কৃতীরা।
গ্রামের বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সূর্য মণ্ডল জানান, অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তি এইভাবে বোমাগুলিকে রেখে গেছে বলেই মনে হচ্ছে । পাশে মাঠ ও জঙ্গল থাকায় অন্ধকারে বোমাগুলি রেখে যেতে সুবিধা হয়েছে তাদের । এই বোমাগুলি ফেটে গিয়ে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত । আমরা চাই পুলিশ সঠিক তদন্ত করে যারা এসব অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করুক ।
অন্যদিকে, কালিয়াচক থানার অন্তর্গত গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আকন্দবাড়িয়ায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় আরও দুই ব্যাগ বোমা উদ্ধার করে। পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, আমাদের বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্রর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে । গতকাল রামনগর থেকে ৩৪টি বোমা উদ্ধার করেছি। ইতিমধ্যেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আকন্দবাড়িয়া ও বৈষ্ণবনগরের দুই জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। শীঘ্রই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার ।