বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ক্যানিংয়ে গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুতে আলোড়ন, রান্নাঘর থেকে মিলল গলাকাটা দেহ

ক্যানিংয়ে গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুতে আলোড়ন, রান্নাঘর থেকে মিলল গলাকাটা দেহ

ঘরের মেঝে ভাসছে রক্তে।

সংসার চালাতে না পেরে কিছুদিন ধরে ধার দেনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন গৃহবধূ। সংসারে অশান্তি থাকলেও তা কখনও চরমে ওঠেনি। সেখানে মঙ্গলবার সকালে ঘরের মধ্যে গৃহবধূর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। রাতের অন্ধকারে কেউ এসে খুন করেছে কিনা সেটা বোঝা যাচ্ছে না। এভাবে আত্মহত্যা করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়।

রোজ সকালে প্রতিবেশীরা দেখতে পেতেন বাড়ির বাইরে মন দিয়ে কাজ করছেন এক গৃহবধূ। আজ, মঙ্গলবার সেই অভ্যস্ত ছবি দেখা গেল না। বরং যা দেখা গেল তাতে শিউরে উঠলেন গ্রামবাসীরা। ওই গৃহবধূ বাড়ির বাইরে না বেরনোয় সন্দেহ হয়েছিল গ্রামবাসীদের। তাই কয়েকজন ডাকতে গিয়েছিলেন। তখনই নজরে এল ঘরের মেঝে ভাসছে রক্তে। তারপর রান্নাঘরের দিকে পা বাড়াতেই তাঁরা দেখলেন গৃহবধূ উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন। পাশে রক্তাক্ত বটি। আর গৃহবধূর গলাকাটা দেহ। ক্যানিংয়ের মিঠাখালি এলাকায় এখন এটাই চর্চিত হচ্ছে।

এটা খুন নাকি আত্মহত্যা? গোটা ঘটনাটি জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর নাম অঞ্জলি নস্কর (৪২)। স্বামী দিনমজুর। ফলে সংসারে অভাব ছিল। তাছাড়া কয়েকজনের কাছে ধার হয়ে গিয়েছিল এই গৃহবধূর। যা শোধ দিতে পারছিলেন না তিনি। বাড়িতে এসে পাওনাদাররা তাগাদা দেওয়ার তথ্য মিলেছে। সেখান থেকে তিনি মানসিক অবসাদে পৌঁছন বলেও তথ্য মিলেছে। তাই এটি খুন নাকি আত্মহত্যা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে গোটা বিষযটি স্পষ্ট হবে। তবে তদন্ত চলছে।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, গৃহবধূ অঞ্জলি নস্কর খুব শান্ত প্রকৃতির মহিলা ছিলেন। তাঁর আদি বাড়ি ক্যানিংয়ের হেরোভাঙা এলাকায়। সংসারে অভাব ছিল। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে ক্যানিংয়েই ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। স্বামী দিনমজুরের কাজ করতেন। সংসার চালাতে না পেরে কিছুদিন ধরে ধার দেনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন গৃহবধূ। সংসারে অশান্তি থাকলেও তা কখনও চরমে ওঠেনি। সেখানে মঙ্গলবার সকালে ঘরের মধ্যে গৃহবধূর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। রাতের অন্ধকারে কেউ এসে খুন করেছে কিনা সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তাছাড়া এভাবে আত্মহত্যা করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন:‌ মাঝরাতে ব্যবসায়ী কৌস্তভ রায়কে গ্রেফতার করল ইডি, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠল

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সূত্রের খবর, অভাব থাকায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অঞ্জলি। আর মঙ্গলবার মিলল তাঁর গলাকাটা দেহ। তাও আবার রান্নাঘরে। এটাই সবার মধ্যে সন্দেহ তৈরি করেছে। তাঁর দুই ছেলে আছে। তাঁরাও বেকার। ফলে সংসারে অভাব ছিল সেটা স্পষ্ট। অঞ্জলিকে গলাকাটা অবস্থায় যখন দেখতে পান প্রতিবেশীরা তখন ঘরে কেউ ছিল না। সেক্ষেত্রে এটা পরিকল্পিত খুনও হতে পারে বলে মনে করছেন পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনা দেখে প্রতিবেশীরাই স্বামী ও তাঁর দুই ছেলেকে খবর দেন। আর পুলিশেও খবর দেন। পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে কেউ কি এসেছিলেন বাড়িতে?‌ উঠছে প্রশ্ন।

বন্ধ করুন