সিট যা পারেনি তদন্তে নেমে দ্বিতীয় দিনেই তা করে দেখাল সিবিআই। রামপুরহাট গণহত্যায় সোনা শেখের বাড়িতে আধপোড়া জিনিসপত্রের নীচ থেকে উদ্ধার হল হাঁসুয়া আর শাবল। যাতে আগুন লাগানোর আরে মৃতদের ওপর পাশবিক অত্যাচারের যে অভিযোগ উঠেছিল তাই প্রমাণ হল বলে মত অনেকের।
রামপুরহাট গণহত্যার পর অভিযোগ ওঠে, জীবন্ত পুড়িয়ে মারার আগে অন্তত ২ জন মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতীরা। তার পর তারা ফিরে যায়। তখন ২ মহিলাকে জল খাওয়ান পরিজনরা। দুষ্কৃতীরা ফিরে এসে ওই ২ মহিলাকে পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কায়ুম শেখ নামে এক কিশোর।
রবিবার বগটুই গ্রামে সোনা শেখের বাড়িতে তল্লাশি সময় আধপোড়া মানব দেহাং ও জিনিসপত্রের তলা থেকে উদ্ধার হয় একটি শাবল ও একটি হাঁসুয়া। এদিন দিনভর ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। এছাড়া হাসপাতালে গিয়ে ৩ জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান রেকর্ড করেন তাঁরা। বিকেলে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী অফিসে জেরা করা হয় আনারুল হোসেনসহ ৪ জন অভিযুক্তকে।