গরুপাচার কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতারের পর এবার বীরভূমের ২ ব্যবসায়ীকে ডেকে পাঠাল সিবিআই। তাদের ব্যবসা সংক্রান্ত তথ্য এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য নিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, এই দুই ব্যবসায়ী গরুর হাটের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। এনামুল হকের সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই।
বীরভূমের দুই ব্যবসায়ীকে চলতি সপ্তাহে এই সমস্ত নথি নিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ব্যবসায়ীর পাচারকারীদের সঙ্গে যোগসুত্র ছিল। পাচারকারীরা গরুর হাটে যাতে সুষ্ঠুভাবে গরু লেনদেন করতে পারে তা দেখাশোনার দায়িত্বে ছিল এই দুজন। তারা মোটা টাকার বিনিময়ে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করত বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। তাদের সম্পর্কে সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। বেআইনি অর্থলগ্নিতেও এই দুই ব্যবসায়ীর ভূমিকা রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
গরু পাচার কাণ্ডের তদন্ত জোরকদমে চলছে। গত সপ্তাহে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ এক রাইস মিল ব্যবসায়ীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলও সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ ছিল বীরভূমের মাটি ব্যবহার করে মুর্শিদাবাদ এবং সেখান থেকে বাংলাদেশের পৌঁছে যেত গরু। গোয়েন্দাদের মতে, রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মদত না থাকলে এমনটা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের ২ ইন্সপেক্টরকে সিবিআই তলব করতে পারে বলে সূত্রের খবর।