গরু পাচার কাণ্ড নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম। সিবিআই গ্রেফতার করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। এই পরিস্থিতিতে আজ, রবিবার সিআইডি গ্রেফতার করল এনামুল ঘনিষ্ঠ জেনারুল শেখ–কে। এদিন মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এই রঘুনাথগঞ্জেই জেনারুল শেখের বাড়ি। রবিবারই তাঁকে আদালতে তোলা হতে পারে।
কে এই জেনারুল শেখ? সিআইডি সূত্রে খবর, এই জেনারুল শেখ ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় গরুপাচার করত। এমনকী ওই সীমান্ত বিএসএফের একাংশের সহযোগিতায় ওই গরুগুলিকে পাচার করা হতো। আর এই কাজে এনামুলের সঙ্গে জেনারুলের যোগসূত্র ছিল। আর সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা রোজগার করত এই জেনারুল শেখ।
আর কী জানা যাচ্ছে? গরু পাচার কাণ্ডে শনিবার আবদুল বারিক ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় মালিককে সাত দিনের হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। কয়লা পাচারের পাশাপাশি সঞ্জয় মালিক গরু পাচারেও যুক্ত। ২০১৯ সালে জলঙ্গি থানা এলাকায় গরু পাচারের অভিযোগে তার নামে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। গরু পাচারকাণ্ডে তদন্তের স্বার্থে সিআইডি তাদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতেই তাতে সম্মতি দেন বিচারপতি সিজিএম অপর্ণা চৌধুরী।
সিআইডি কী তথ্য পেয়েছে? সঞ্জয় আর আবদুল এই দু’জনের বিরুদ্ধে গরু পাচারের অভিযোগ অনেক দিনের। আবদুল বারিকের সঙ্গেই বিএসএফের একাংশ এবং গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। গরু পাচারের তদন্তে নেমে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের থেকেই সিআইডি বারিকের সঙ্গে এই সুসম্পর্কের কথা জানতে পারে। তদন্তে উঠে আসে সঞ্জয়ের নাম। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেরা করেই মেলে জেনারুল শেখের নাম। এবার তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।