পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার পর গতকাল রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। সেই ঘটনায় তদন্তে নামল সিআইডি। আজ সেখানে পৌঁছয় সিআইডির একটি দল। তারা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। এছাড়া, ফরেন্সিকের একটি দল আজ সেখানে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করে। এদিন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিআইডি। মহেশতলা থানার পুলিশের সঙ্গেও কথা বলছেন তারা।
রবিবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণের ঘটনার পরে তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন। ডিএসপি (ইন্ডাস্ট্রিয়াল) নিরুপম ঘোষের নেতৃত্বে রবিবার রাত থেকে মহেশতলা ও বজবজ থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। এলাকা জুড়ে চলে তল্লাশি অভিযান। বেশ কয়েকটি দোকানের দরজা ভেঙে পুলিশ একাধিক নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে। সব মিলিয়ে ২০ হাজার কেজির বেশি বাজি উদ্ধার হয়েছে। এদিকে, ঘটনায় ৫টি আলাদা আলাদা মামলা রুজু হয়েছে। মোট গ্রেফতার হয়েছেন ৪০ জন। সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। পাশাপাশি বজবজের চিংড়িপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনাতেও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পরেই পুলিশ যেভাবে অভিযানে নেমেছে তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাজি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য, অসাবধানতাবশত এই দুর্ঘটনা ঘটেছে সচেতনতার অভাবে। ছাদের মধ্যে বাজি রাখা হয়েছিল। তাতেই কোনওভাবে আগুন লেগে যায়। উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিষফোণ ঘটে। তাতে মৃত্যু তাতে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় জখম হয়েছেন একজন। ঘটনার পরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছাড়ায়। এর সঙ্গে আতঙ্কিত স্থানীয়রা। এরপরেই বেআইনি বাজি উদ্ধারে তৎপর হয়েছে পুলিশ। আর এদিন এই ঘটনার তদন্ত শুরু করল সিআইডি।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ফলে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এরই মধ্যে সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে দিয়েছে সিআইডি। সেই ঘটনার পরে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার ফের এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটল বজবজে। জানা গিয়েছে, অবৈধ বাজি কারখানার গোডাউন ছিল জয়দেব ঘাঁটির বাড়ি। ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন একই পরিবারের তিনজন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup