আর আমফানের পুনরাবৃত্তি নয়। ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে পদ্ধতি পরিবর্তন করল রাজ্য সরকার। তাই এবার গোড়া থেকেই নয়া পদ্ধতিতে কাজ শুরু করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তিনি দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন। এবার তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজে দলের কেউ যুক্ত থাকবেন না। সবটাই হবে প্রশাসনের মাধ্যমে। কারণ তাহলে সরাসরি সেই হিসাব হাতে থাকবে। আর কেউ দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারবেন না।
গত বছর আমফানের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। সেটা ঠেকাতে ত্রাণ বিলির মাঝপথে প্রশাসনকেই নামাতে হয়েছিল। সেখান থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল দুয়ারে সরকার প্রকল্পের। তখন অনেকেই ত্রাণে গড়মিল করেছিল বলে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন। তাই এবার আর সেই পথে হাঁটতে রাজি নন তিনি। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার আগাম এই সতর্কতা নিলেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড়ের বিপর্যয়ের পর প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি পর্যালোচনার করে বৃহস্পতিবার তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, স্বচ্ছতা ও সদ্বব্যবহারের স্বার্থেই এবার প্রশাসনিক স্তরেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে চান তিনি। আর এই কাজের তদারকিতে একেবারে শীর্ষে থাকবেন নিজে। কারণ আমফানের তাণ্ডবে একাধিক জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তখন ত্রাণ ও পুনর্গঠনে রাজ্য সরকার যে অর্থ বরাদ্দ করেছিল তা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল। এবার ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আছড়ে পড়েছে বাংলায়। তাই ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজ একেবারে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে চাইছেন তিনি।
এবার গোড়াতেই দলের ভিতরে–বাইরে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কারও কথায় ত্রাণ বণ্টন হবে না। আগেরবার আমরা অনেক টাকা দিয়েছিলাম। এক–দুটো কেসের জন্য অনেক কথা শুনতে হয়েছে।’ এবার তাই সে কাজ সরকারি আধিকারিকেরা করবেন বলেও জানান তিনি। এই বিষয়ে দলের মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘এভাবে ত্রাণের কাজ হলে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলার কোনও সুযোগ থাকবে না। দলমত নির্বিশেষে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই উপকৃত হবেন।’