কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে দলীয় কাউন্সিলরদের অনুমতি দিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রকাশ্য মঞ্চে সাংসদ শিশির অধিকারীকে প্রণাম করে তাঁকে রাজনৈতিক গুরু বলে উল্লেখ করার পর থেকেই সুবল মান্নার সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ছিল। গত বুধবার তাঁকে পুরপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলে দল। কিন্তু ইস্তফা দিতে অস্বীকার করেন সুবলবাবু। শুক্রবার সুবল মান্নার বিরুদ্ধে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছে অভিযোগ জানান কাঁথির ১৬ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। তার পরই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার নির্দেশ গেল কলকাতা থেকে।
তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ পন্ডা বলেন, সুবল মান্না মিথ্যা কথা বলছেন। দলবিরোধীদের সঙ্গে যোগসাজস করে চলছেন উনি। ওনার আচরণে দলীয় কর্মীদের মনে আঘাত লেগেছে। দল তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকদিনের মধ্যে অনাস্থা অনবে।
ওদিকে সুবলবাবুর দাবি, দলের তরফে শো-কজের কোনও চিঠি পাননি তিনি। এমনকী তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েও দলের তরফে কোনও চিঠি আসেনি। মৌখিক নির্দেশে কোনও পদক্ষেপ করবেন না তিনি।
তৃণমূলের অন্দরের এই কোন্দলকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ভোট চুরি করে পুরসভা দখল করেছিল তৃণমূল। এখন হাতে নাতে তার ফল পাচ্ছে।