শুধু চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে কাজ হবে না। করোনাভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট থাকলে তবেই দোকান থেকে মিলবে অক্সিজেন। সেইসঙ্গে গত বছরের মতো এবারও করোনায় মৃতদের বিনামূল্যে সৎকারের বন্দোবস্ত করা হবে। শনিবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের এমনই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের মধ্যে শনিবার নবান্নে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী-সহ রাজ্যের একাধিক শীর্ষকর্তা। সেখানে ইন্টিগ্রেটেডে ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের উপর দেওয়া হয়। নবান্নে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুমে শীর্ষস্তরের প্রশাসনের কর্তারা নজরদারি চালাবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে অক্সিজেনের জোগানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনায় উঠে আসে, রাজ্যে আপাতত দৈনিক ২২৩ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। সেখানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে রোজ প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন উৎপাদিত হয়। ফলে রাজ্যে আপাতত অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি নেই। তারইমধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে শুধু চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন দেখালে অক্সিজেন মিলবে না। করোনাভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট থাকলে তবেই অক্সিজেন দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে যে অক্সিজেন পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, তা থেকে অক্সিজেন চাওয়া হবে। কারণ ভোট মিলে গেলে আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা আছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাানো হবে। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে ৬০ শতাংশ শয্যা করোনা রোগীদের জন্য রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।