লোকসভা নির্বাচনে দল কোন পথে এগোবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুক্রবার বসছে সিপিএমের তিনদিনের রাজ্য কমিটির বিশেষ অধিবেশন। এখানে নানা ইস্যু নিয়ে জোর আলোচনা হওয়ার কথা। তার মধ্যে, সভায় লোক হলে ভোট বাক্সে সেটা দেখা যাচ্ছে না। আবার নীচুতলায় সংগঠনের হাল বেহাল রয়েছে। এমনকী ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে দলের কর্মীদের মধ্যে। সেটা কেমন করে কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায় তা ঠিক করতেই এই বিশেষ অধিবেশন।
তবে এখানেই বিষয়টি থামছে না। রাজ্য–রাজনীতির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে লাভ হচ্ছে না–সহ আরও কয়েকটি ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে স্ট্র্যাটেজি কী হবে সেটা ঠিক করতেই বসছে সিপিএমের তিনদিনের রাজ্য কমিটির বিশেষ অধিবেশন। হাওড়া জেলা পার্টি অফিস অনিল বিশ্বাস ভবনের অডিটোরিয়ামে এই বিশেষ অধিবেশন বসবে। রাজ্য কমিটির সদস্যরা এবং প্রত্যেকটা জেলা পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরাও প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন।
সূত্রের খবর, এই অধিবেশনে পুরো সময়ে থাকবেন পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তৃণমূল–বিজেপি সেটিং তত্ত্ব প্রচার করেও লাভ হয়নি। কারণ মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। উলটে ভোট বাক্সে শূন্য পেয়েছে সিপিএম। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেও সেরকম কোনও সুবিধা হয়নি। উলটে বামেদের ভোট ট্রান্সফার হয়েছে বিজেপিতে। নানা কৌশল করেও সংগঠনের হাল ফেরানো যায়নি। তার উপর সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে পার্টি কর্মীদের মধ্যেও শুরু হয়েছে বিভ্রান্তি। তাই লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় দলের লাইন কী হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে চলেছে বিশেষ অধিবেশনে।
আরও পড়ুন: ‘রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করতে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে’, কেন্দ্রকে তুলোধনা মমতার
সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলও ভাল হয়নি। তাহলে কেমন করে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যায় সেটাই এখন লালপার্টির আলোচনার বিষয়। কোন পথে গেলে একটু হাল ফিরবে তা নিয়ে লাগাতার আলোচনা চলবে। কারণ বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। হাতে বেশি সময় নেই। সবাই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সেখানে কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে আসন সমঝোতা কেমন হবে—এটাও উঠে আসবে আলোচনায় বলে সূত্রের খবর। লোকসভা নির্বাচনে যে কটি আসনে গুরুত্ব দিয়ে সিপিএম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় সেই আসনের তালিকাও ঠিক করা হবে।