আমফানের প্রভাবে লন্ডভন্ড পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা। কলকাতা, দুই পরগনা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতে রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছে আমফান। এই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। সেজন্য যে অঞ্চলগুলিতে ঝড়ের প্রভাব বেশি, সেখানে প্রয়োজন অনুসারে বিদ্য়ুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ আমফানের স্থলভাগে ঢুকে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারপর থেকে প্রবল ঝড় শুরু হয়েছে। যত সময় যাচ্ছে তত বাড়ছে ঝড়ের তীব্রতা-গতিবেগ। কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার জেরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কলকাতায় নিউ আলিপুর, বালিগঞ্জ, কসবা, চেতলা, টালিগঞ্জ, হেস্টিংস-সহ প্রায় ৩০ টি জায়গায় গাছ উপড়ে গিয়েছে। ট্র্যাফিক সিগন্যালের লাইটপোস্টও ভেঙে পড়েছে। কয়েক জায়গায় ট্রান্সফর্মারে আগুন লাগার খবর পাওয়া গিয়েছে।
জেলার অবস্থা আরও শোচনীয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ, নামখানা-সহ বিভিন্ন ক্রমশ বাড়ছে ঝড়ের দাপট। বিভিন্ন জায়গা থেকে বাড়ির চাল উড়ে যাওয়া, গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। একই অবস্থা উত্তর ২৪ পরগনারও। সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, বসিরহাট থেকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাওয়া গিয়েছে। অতি প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় তছনছ চালিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরেও। বিভিন্ন জায়গায় বাঁধে ভেঙে জল ঢুকে গিয়েছে। নন্দীগ্রাম, তাজপুর, এগরা থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি।
এই অবস্থায় কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য সরকার। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় বিদ্যুতের তার পড়ে থাকায় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য যে এলাকাগুলিতে ঝড়ের দাপট বেশি, সেখানে তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।