ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে ধ্বংস হয়েছিল সৈকতনগরী দিঘা। তখনই পরিদর্শন করে কথা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ফের সাজিয়ে তুলবেন এই সাধের দিঘাকে। তারপর রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিএসডিএ(দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা) দিঘাকে সাজানোর কাজে হাত দেয়। এখন সেই কাজ প্রায় শেষ। ওল্ড দিঘার বিশ্ববাংলা–১ ও ২ নম্বর উদ্যানে সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। সমুদ্রসৈকত বরাবর আলো এবং সবক’টি রাস্তাকে ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে এই নবরূপে সেজে ওঠা দিঘার উদ্বোধন করাতে চাইছে জেলা প্রশাসন।
কবে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ইতিমধ্যেই তিনি দিঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ করতে চান পুরীর ধাঁচে বলে জানিয়েছেন। এমনকী তার জন্য ১২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। ডিসেম্বর মাসের শেষ বা জানুয়ারির শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে আসবেন বলে সূত্রের খবর। এখানে এসে স্টেশন লাগোয়া বিলামড়িয়া মৌজায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনেরও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।
গত মে মাসে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে দু’টি উদ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের আর্থিক সহায়তায় দু’টি উদ্যান ঢেলে সাজাতে শুরু করে ডিএসডিএ। এখন এই উদ্যানের সৌন্দর্যায়নের টানে প্রি–ওয়েডিং শ্যুটিং স্পটে পরিণত হয়েছে। সুসজ্জিত গেট করা হয়েছে এই পার্কে। সন্ধ্যার আলোকসজ্জায় আকর্ষণ বাড়ছে। পার্কে দামি টাইলসে মোড়া হয়েছে পথ। সামনে গোলাকার বাগান। সবুজের গালিচা–সহ আরও অনেক কিছু।
কেমন সাজানো হয়েছে? এখানে পা রাখলেই দেখা যাবে সেজে উঠেছে গোটা উদ্যান। বসার জায়গার পাশাপাশি তিব্বতীয় পরিবেশ আনা হয়েছে। দেখা মিলবে দাবার বোর্ড ও গুটির আদলে মনোমুগ্ধকর ছবি। মাথার উপর হাইমাস্ট লাইট। উদ্যানে রয়েছে বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য খেলার সামগ্রী। রাজ্য সরকারের তৎপরতায় দিঘা আগের থেকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে ডিএসডিএর এক্সিকিউটিভ অফিসার মানসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘৩০টি স্কিমের মধ্যে ১৬টির কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১৪টির কাজ শেষের মুখে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবরূপে সজ্জিত দিঘার উদ্বোধন করবেন। দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’