রাজ্য সরকার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের অর্থ সরাসরি পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠায়। ব্যাঙ্ক আকাউন্টে সেই টাকা পেতে গেলে আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। তাই শিক্ষা দফতর থেকে সম্প্রতি এক সমীক্ষা চালায় কতজন পড়ুয়ার আধার কার্ড রয়েছে তা নিয়ে। দেখা যায় রাজ্যের নয় লক্ষ ছাত্রছাত্রী আধার কার্ড নেই। শিক্ষা দফতর থেকে সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যের সব পড়ুয়ার আধার কার্ড তৈরি করার। তাই আধার কার্ড তৈরির জন্য শিবিরের আয়োজন করছে শিক্ষা দফতর।
মঙ্গলবার শিক্ষা দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে পড়ুয়াদের আধার কার্ড তৈরির শিবির শুরু হবে। প্রতিটি ব্লকে কম করে দু'জায়গায় আধার কার্ড তৈরির শিবির হবে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত আধার কার্ড তৈরি করা হবে ওই শিবিরে।
বুধবার অর্থাৎ কাল থেকে শুরু হচ্ছে এই শিবির। যে সব জায়গায় আয়োজন করা সম্ভব হবে না, সেখানে যত দ্রুত সম্ভব শিবিরের কাজ শুরু করতে হবে। শুধু সরকারি স্কুল নয়, বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়ারাও ওই সব শিবিরে আধার কার্ড তৈরি করতে পারবে।
শিবির আয়োজনের জন্য মহাকুমা শাসক ও বিডিওদের সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানোর জন্য পুলিশকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
(পড়তে পারেন। কড়ি খসিয়ে আর যেতে হবে না সিঙ্গাপুর, দিঘাতেই মিলবে বিনোদনের এই নতুন ডোজ)
কোন জেলায় ক'টি শিবির
আলিপুরদুয়ার জেলায় আটটি, বাঁকুড়া জেলায় ১২টি, ব্যারাকপুর মহকুমা দু’টি, বীরভূমে আটটি, কোচবিহারে সাতটি, দক্ষিণ দিনাজপুরের ১৬ টি, দার্জিলিংয়ে দু’টি, হুগলিতে ছ’টি, হাওড়ায় ২০টি, জলপাইগুড়িতে দু’টি, ঝাড়গ্রামে ১০টি কালিম্পংয়ে চারটি, মালদহে ১৪টি, মুর্শিদাবাদে ২১টি, নদিয়ায় ১১টি, উত্তর ২৪ পরগনায় ২৩টি, পশ্চিম বর্ধমানে একটি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৫টি, পূর্ব বর্ধমানে ১৬টি পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৫টি, পুরুলিয়ায় ১৭টি, শিলিগুড়িতে একটি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১২টি ও উত্তর দিনাজপুরে চারটি শিবিরের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।