এ কোন সকাল রাতের চেয়েও অন্ধকার। অষ্টমীর সকালে ঘুম থেকে উত্তরবঙ্গের অনেক জেলাতেই বাসিন্দাদের মনে এসেছিল এই কথাটাই। আকাশ একেবারে ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়। এরপর শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। এরপরই খবর আসতে থাকে একের পর এক জেলায় ভেঙে পড়ছে পুজোর মণ্ডপ। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সর্বত্র একই ছবি। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মণ্ডপের একাংশ।
পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তিল তিল করে তৈরি হয়েছিল মণ্ডপ। অষ্টমীর দমকা হাওয়াতে সব শেষ হয়ে গেল। কীভাবে পুজোর বাকি দিনগুলি দর্শকদের আনন্দ দেওয়া যাবে তা নিয়ে ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছেন না পুজো উদ্যোক্তারা।
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি, রাজগঞ্জ, বেলাকোবা সহ বিভিন্ন এলাকায় মণ্ডপ ভেঙে পড়েছে। ময়নাগুড়ি এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এর জেরে গোটা এলাকায় লোডশেডিং। অষ্টমীতেই মণ্ডপে মোমবাতি জ্বালিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ দফতর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিত মোকাবিলার চেষ্টা করছে।
শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ির বাতাসি পিএসএ পুজো কমিটির আলোর সুবিশাল গেট ভেঙে পড়ে। রাস্তার উপর গেট ভেঙে পড়ায় যান চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সকলের চোখের সামনে বিশাল গেটটি ভেঙে পড়ে। আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। তবে দ্রুত গেটটি সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কোচবিহারেও প্রচুর বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বড়দেবীর কাছে পুষ্পাঞ্জলি দিতে হাজির হন বাসিন্দারা।তবে রাতে আবহাওয়ার পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় সেদিকেই তাকিয়ে উৎসব মুখর বাংলা।