বিশ্বভারতীতে ভাঙচুরের ঘটনায় এবার তদন্তে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার তদন্তকারী সংস্থার তরফে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকর্তাদের চিঠি দিয়ে ঘটনা সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর অভিযোগ, সোমবারের ঘটনায় টাকা দিয়ে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের জড়ো করা হয়েছিল। সেই টাকা কোথা থেকে এল তার তদন্ত শুরু করেছে ইডি।
সোমবারের তাণ্ডবে মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর তরফে ১০০-র বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন বিধায়ক নরেশ বাউড়ি-সহ অন্তত ১ ডজন তৃণমূল নেতা। তাদের বিরুদ্ধে অনধিকার প্রবেশ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র ও বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংকে। ঘটনায় কারা যুক্ত ছিল। তদন্তকারীরা কী কী নথি জোগাড় করেছেন, সমস্ত কিছু জানতে চাওয়া হয়েছে ইডির তরফে।
শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে সোমবার ধুন্ধুমার বাঁধে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে নির্মিয়মাণ পাঁচিল পে লোডার দিয়ে ভেঙে দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চললেও বাধা দেয়নি পুলিশ। উলটে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া রবীন্দ্রনাথের ভাবনার পরিপন্থী।
পালটা বিশ্বভারতীর বক্তব্য, বিশ্বভারতীর সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী ও জমি মাফিয়া। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জমি তাদের দখলে চলে গিয়েছে। পৌষ মেলার মাঠেও তাদের নজর রয়েছে। তাই মাঠে মাত্র ৪ ফুট উঁচু পাঁচিল দেওয়া হচ্ছিল। এতে সৌন্দর্যের কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।