সম্পত্তি বিবাদ ছিল দুই ভাইয়ের মধ্যে। আর তার জেরে ভাইয়ের বুকে এলোপাথারি ছুরির কোপ বসিয়ে দেয় দাদা। এই খুন করে সে পালিয়ে যায়। রবিবার রাতে হাবড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। আর তাতে শিউরে উঠেছেন এলাকার মানুষজন। এই সম্পত্তির ভাগ নিয়েই দুই ভাইয়ের মধ্যে অশান্তি চরমে উঠেছিল। যার জেরেই দাদার হাতে খুন হল ভাই।
ঠিক কী ঘটেছে হাবড়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে দাদা অভিজিৎ ঘোষ বাড়িতে এসে সম্পত্তির ভাগ নিয়ে অশান্তি শুরু করে। ভাঙচুর করতে শুরু করে। এটা আটকাতে এসে মার খান মা শ্রুতিরানী ঘোষ। যা দেখে ছুটে এসে বাধা দেন ভাই রঞ্জিত ঘোষ। সেটা মেনে নিতে পারেনি দাদা অভিজিৎ। তখন ভাইয়ের হাত কামড়ে মাংস তুলে নেয়। আর ছুরি দিয়ে বুকের মধ্যে এলোপাথারি কোপ মারে। এই দেখে মা চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ততক্ষণে পলাতক অভিজিৎ।
তারপর কী ঘটল সেখানে? হাবড়ার বামিহাটি ছাদিম তলার বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় রঞ্জিতকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। এই ঘটনায় মা শ্রুতিরানীও জখম হয়েছেন। তাঁকেও চিকিৎসার জন্য স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঠিক কী নিয়ে বিবাদ? পুলিশ সূত্রে খবর, চান্দু ঘোষের প্রথমপক্ষের দুই পুত্র সন্তান এবং এক কন্যা। স্ত্রী মারা গিয়েছেন। তারপর চান্দু বিয়ে করেন শ্রুতি রানী ঘোষকে। দ্বিতীয়পক্ষের এক ছেলে এক মেয়ে আছে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তিন ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই বিদেশে থাকেন। সম্পতির ভাগ নিয়ে এই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। তা থেকেই খুন। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। হাবড়া থানার পুলিশ অভিযুক্তের সন্ধান করছে।